চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি বিদেশ ফেরত লোকজনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি স্থানে লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ জন্য পুরো দেশে জারি করা হয়েছে ১০ দিনের অঘোষিত ‘লকডাউন’।
সরকারি নির্দেশনা মেনে মানুষ বাড়িতে থাকলেও ওষুধ, কাঁচা বাজার কিনতে বা জরুরি প্রয়োজনে বের হতে হচ্ছে অনেককে। জরুরি প্রয়োজনে বের হও্য়া এসব মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়েছেন ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ।
তার উদ্যোগে রাউজানের কয়েকটি এলাকায় ওষুধ ও মুদির দোকানের সামনে অন্তত তিন ফুট দূরে দূরে গোলচিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে।
ক্রেতারা এসে এসব চিহ্নত স্থানে দাঁড়াচ্ছেন। সামনের ব্যক্তিটি কেনাকাটা সেরে গোলচিহ্নিত স্থান ত্যাগ করছেন। ততক্ষণ পেছনের ব্যক্তিটি তিন ফুট পেছনে থাকা গোলচিহ্নিত স্থানে অপেক্ষা করছেন। সামনের জন স্থান ত্যাগ করলেই কেবল পেছনের জন এগিয়ে গিয়ে কেনাকাটা শুরু করতে পারছেন।
ফলে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন একে অন্যের সংস্পর্শে আসছেন না।
ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ সম্পর্কে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবীর সোহাগ জানান, লোকজনের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে উপজেলার ফকির হাট এবং কাগতিয়া বাজারে ওষুধ এবং মুদি দোকানের সামনে আমরা তিন ফুট দূরে দূরে গোলচিহ্ন এঁকে দিয়েছি।
তিনি জানান, গোলচিহ্ন মেনে কেনাকাটা করতে স্থানীয়দের আমরা উদ্বুদ্ধ করছি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে সচেতন করেছি।
‘প্রাথমিকভাবে দুটি এলাকায় ওষুধ এবং মুদি দোকানের সামনে আমরা চিহ্ন এঁকে দিয়েছি। আশা করি এর মাধ্যমে রাউজানের লোকজন সচেতন হবেন। অন্য এলাকায়ও ওষুধ এবং মুদি দোকানের সামনে এরকম চিহ্ন এঁকে কেনাকাটা করতে আসা লোকজনের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সহায়তা করবেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাউজানের ডাবুয়া এবং হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সম্পতি বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন পর্যালোচনা ছাড়াও লোকজনকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার আহবান জানান তারা।