বুধবার (২৫ মার্চ) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে তার নিজ কক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই বিশেষ বরাদ্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা, মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য মোট ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করে। ৩২৮টি পৌরসভায় জীবাণুনাশক ও সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের জন্য মোট ৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা ও সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৪৯২টি উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ৮টি, জেলা শহরে ৫টি এবং প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে হাত ধোয়ার স্থাপনা নির্মাণ করছে এবং ইউনিসেফ’র সঙ্গে সভার প্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে প্রতি জেলায় ব্লিচিং পাউডার ক্রয় বাবদ ৫০ হাজার টাকা, নলকূপের খুচরা যন্ত্রাংশ বাবদ ৩০ হাজার টাকা এবং সাবান কেনার জন্য ২০ হাজার টাকা অর্থাৎ জেলা প্রতি ১ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। গ্রামীণ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য প্রতি উপজেলায় নলকূপের খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয় বাবদ ৩০ হাজার টাকা, ব্লিচিং পাউডার ক্রয় বাবদ ২০ হাজার টাকা এবং সাবান কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা অর্থাৎ উপজেলা প্রতি ৫৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশন কর্তৃক করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা, মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ‘সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন সহায়তা খাত’ থেকে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর ও চট্রগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য ৩ কোটি করে, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জন্য ২ কোটি করে, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের জন্য ১ কোটি করে, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরকে হ্যান্ডওয়াশিং বেসিনে ব্যবহারের জন্য সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ক্রয় বাবদ ২ কোটি কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মরণ কুমার চক্রবর্ত্তী, অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ সরকার ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।