ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo সাদপন্থী নেতা মোয়াজ বিন নূরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর Logo ৯ দফা দাবিতে নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অবস্থান Logo ’’বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর’ নাম পরিবর্তন’’ নতুন নাম যমুনা রেলসেতু Logo নওগাঁ এডুকেশন ফাউন্ডেশন এর ৫ম তম বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত Logo ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন Logo অ্যাটলির সিনেমায় সালমান খান Logo রূপালী ব্যাংকের শাখায় ডাকাত, জিম্মি কর্মকর্তারা Logo ফিফা আন্তঃমহাদেশীয় কাপে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক Logo যথাসময়ে ইজতেমা, সহিংসতাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভৈরবে প্রবাসীর লাশ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন, নমুনা সংগ্রহ

  ভৈরব প্রতিনিধিঃ  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইতালি প্রবাসী আব্দুল খালেকের (৬৫) মরদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কর্মীরা সকালে ভৈরবে ওই প্রবাসীর বাড়িতে আসেন। তারা মৃতের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি-না তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় চলে যান।

এরপর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থায় মরদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে সিলগালা করে দেয়। এ সময় প্রশাসনের ৪/৫ জন কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়া বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী বা গ্রামের কোনো লোকজন উপস্থিত ছিলেন না।
এ খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিশেষ নিরাপত্তায় মরদেহটি দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের পৌর কবরস্হানে নেয়া হয়। সেখানে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে তার জানাজা শেষে দুপুর ১টায় দাফন করা হয়।

এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খিসা, পুলিশের কয়েকজন সদস্য নিরাপত্তার জন্য কবরস্থানের কিছু দূরে উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ দাফন শেষ করে দুপুর দেড়টায় প্রশাসনের লোকজন কবরস্থান এলাকা ত্যাগ করেন।

গতকাল রোববার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইতালি প্রবাসী আব্দুল খালেক।

তিনি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশের বাড়িতে ফেরেন। শ্বাসকষ্ট ও জ্বর দেখা দেয়ায় পরিবারের সদস্যরা রোববার সন্ধ্যায় তাকে শহরের আবেদন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা রাতেই তার মরদেহ শহরের বাসায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা, সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খাঁন বাহার ওই বাড়িতে ছুটে যান এবং দুটি হাসপাতাল ও মৃতের বাড়িসহ আশপাশের ১০ বাড়িতে লোক সমাগম সীমিত করে দেন। এরপর ঘটনাটি রাতে জেলা প্রশাসনসহ ঢাকায় আইইডিসিআরকে জানানো হয়।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

সাদপন্থী নেতা মোয়াজ বিন নূরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ভৈরবে প্রবাসীর লাশ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন, নমুনা সংগ্রহ

আপডেট সময় ০৪:২০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মার্চ ২০২০

  ভৈরব প্রতিনিধিঃ  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ইতালি প্রবাসী আব্দুল খালেকের (৬৫) মরদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কর্মীরা সকালে ভৈরবে ওই প্রবাসীর বাড়িতে আসেন। তারা মৃতের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি-না তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় চলে যান।

এরপর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থায় মরদেহটি পলিথিনে মুড়িয়ে সিলগালা করে দেয়। এ সময় প্রশাসনের ৪/৫ জন কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়া বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী বা গ্রামের কোনো লোকজন উপস্থিত ছিলেন না।
এ খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিশেষ নিরাপত্তায় মরদেহটি দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের পৌর কবরস্হানে নেয়া হয়। সেখানে পরিবারের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে তার জানাজা শেষে দুপুর ১টায় দাফন করা হয়।

এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রি খিসা, পুলিশের কয়েকজন সদস্য নিরাপত্তার জন্য কবরস্থানের কিছু দূরে উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ দাফন শেষ করে দুপুর দেড়টায় প্রশাসনের লোকজন কবরস্থান এলাকা ত্যাগ করেন।

গতকাল রোববার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরবের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইতালি প্রবাসী আব্দুল খালেক।

তিনি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ইতালি থেকে দেশের বাড়িতে ফেরেন। শ্বাসকষ্ট ও জ্বর দেখা দেয়ায় পরিবারের সদস্যরা রোববার সন্ধ্যায় তাকে শহরের আবেদন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়।

তার মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা রাতেই তার মরদেহ শহরের বাসায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাতেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা, সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খাঁন বাহার ওই বাড়িতে ছুটে যান এবং দুটি হাসপাতাল ও মৃতের বাড়িসহ আশপাশের ১০ বাড়িতে লোক সমাগম সীমিত করে দেন। এরপর ঘটনাটি রাতে জেলা প্রশাসনসহ ঢাকায় আইইডিসিআরকে জানানো হয়।