গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে কয়েলের আগুনে বাবা-ছেলেসহ পাঁচ কৃষক পরিবারের অন্তত ১৪টি বসতঘর পুড়ে গেছে।
আগুনে ঘরের বিভিন্ন মালামাল, আসবাবপত্র, ধান-চাল ও হাঁস-মুরগীসহ একটি গরু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২০ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের খুনিয়ারপাড়া গ্রামের ছোলায়মানের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ছোলায়মানের ছেলে সাইদুল সন্ধ্যার পর গোয়ালঘরে মশা তাড়ানোর কয়েল জ্বালিয়ে দেন। রাতে হঠাৎ করে গোয়াল ঘরে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তেই আগুন আশপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গাইবান্ধা থেকর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে সাইদুল তার ভাই সোহেল, বাবা ছোলায়মান, চাচা হাকিম ও হাকিমের জামাই আমির বকসের কাঁচা টিনের ঘরসহ অন্তত ১৪টি বসতঘর পুড়ে যায়। আগুনে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মুল্যের একটি গরুসহ প্রত্যেকের ঘরের ধান, চাল, আসবাবপত্র ও বিভিন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়া আগুন থেকে বাঁচাতে আশপাশের আরও ৫টি টিন ও খড়ের ঘর তড়িঘড়ি করে সড়াতে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বলছেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই আগুনে ঘর, ঘরের মালামালসহ সব কিছুই পুড়ে যায়। পড়নের কাপড় ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আগুনে সবমিলে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাদের। তবে সর্বস্ব হারিয়ে ক্ষতিগস্ত পরিবারগুলো সরকার ও প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোয়াল ঘরে জ্বালানো কয়েলে থেকে এই ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। শেষ মুর্হুতে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে আগুনে ১৪টি টিন সেটের কাঁচাঘর, আসবাবপত্র ও মালামাল সম্পন্ন পুড়ে আনুমানিক ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরী করে নগদ অর্থসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন সাদুল্যাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শাহারিয়া খাঁন বিপ্লব।