ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ, হু হু করে ইলিশের দাম বাড়ছে ভারতে

  • স্টাফ রিপোটার :
  • আপডেট সময় ০১:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৫৯৫ Time View

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 90?

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়। স্বাদে-ঘ্রাণে, গুণে অতুলনীয় এই মাছটির মৌসুম চলছে। গত কয়েক বছর ধরে এই মৌসুমে দেশ থেকে ভারতে উপহার হিসেবে ইলিশ পাঠানো হয়ে এলেও এবার পাঠানো হচ্ছে না ইলিশ।দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সাম্প্রতিক অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনার আমলে শুরু হওয়া এই ‘ইলিশ কূটনীতি’ এবার পড়েছে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, ‘আমরা ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দিতে পারি না, যখন আমাদের নিজেদের লোকজন এগুলো কিনতে পারে না। শেখ হাসিনার আমলে পূজার আগে পশ্চিমবঙ্গে টনকে টন পদ্মার ইলিশ গেলেও এবার আর যাচ্ছে না; তাই পূজার আগে ভারতের বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং এর জেরে দাম বাড়ছে।বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ। এমন অবস্থায় ভারতের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে এই মাছটির দাম বাড়ছে।

এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া ইলিশের বেশির ভাগই পেয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ। এ ছাড়া দুর্গাপূজা ঘিরে সুস্বাদু এই মাছের চাহিদা আরো বেড়ে যায়।যদিও ইলিশ মাছটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়।ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী, আগামী অক্টোবরে দুর্গাপূজা হবে। তার ঠিক আগমুহূর্তে ভারতে এই মূল্যবান মাছ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও বিশেষ এই সময়ে খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ খেতে পছন্দ করেন কলকাতার বাঙালি বাবুরা।

তবে বাংলাদেশের সরকার ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও ভারতের মাছবাজারে এখনো পাওয়া যাচ্ছে পদ্মার ইলিশ।দিল্লির সিআর পার্কের মার্কেট-১-এর একজন মাছ বিক্রেতা ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘গাজীপুরের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখন মিয়ানমার হয়ে আসছে। এতে ইলিশের দাম বেড়েছে। আমরা এক থেকে এক দশমিক তিন কেজি ওজনের বাংলাদেশি একটি ইলিশ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কয়েক মাস আগে এই মাছের দাম কিলোপ্রতি ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। এবারের দুর্গাপূজার সময়ও বাংলাদেশি ইলিশ পাওয়া যাবে। তবে সরবরাহজনিত সমস্যার কারণে টাকা বেশি গুনতে হবে।’

বাংলাদেশে ইলিশের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাছটি রপ্তানি বন্ধ রাখে সরকার। ভারতের জন্য বরাবরই মনখোলা ছিলেন শেখ হাসিনা। তাই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে যেকোনো উৎসবের আগে ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশের বড় বড় চালান পাঠিয়েছেন তিনি। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে এই নিয়ম অনুসরণ করে আসছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ভারতে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার এই নীতি থেকে সরে এসেছে নতুন সরকার।

ট্যাগস

রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ, হু হু করে ইলিশের দাম বাড়ছে ভারতে

আপডেট সময় ০১:৩৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়। স্বাদে-ঘ্রাণে, গুণে অতুলনীয় এই মাছটির মৌসুম চলছে। গত কয়েক বছর ধরে এই মৌসুমে দেশ থেকে ভারতে উপহার হিসেবে ইলিশ পাঠানো হয়ে এলেও এবার পাঠানো হচ্ছে না ইলিশ।দুর্গাপূজার আগে বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সাম্প্রতিক অন্তর্বর্তী সরকার। শেখ হাসিনার আমলে শুরু হওয়া এই ‘ইলিশ কূটনীতি’ এবার পড়েছে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, ‘আমরা ইলিশ রপ্তানি করার অনুমতি দিতে পারি না, যখন আমাদের নিজেদের লোকজন এগুলো কিনতে পারে না। শেখ হাসিনার আমলে পূজার আগে পশ্চিমবঙ্গে টনকে টন পদ্মার ইলিশ গেলেও এবার আর যাচ্ছে না; তাই পূজার আগে ভারতের বাজারে ইলিশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং এর জেরে দাম বাড়ছে।বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ। এমন অবস্থায় ভারতের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে এই মাছটির দাম বাড়ছে।

এনডিটিভি বলছে, বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া ইলিশের বেশির ভাগই পেয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ। এ ছাড়া দুর্গাপূজা ঘিরে সুস্বাদু এই মাছের চাহিদা আরো বেড়ে যায়।যদিও ইলিশ মাছটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়।ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুযায়ী, আগামী অক্টোবরে দুর্গাপূজা হবে। তার ঠিক আগমুহূর্তে ভারতে এই মূল্যবান মাছ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। যদিও বিশেষ এই সময়ে খিচুড়ির সঙ্গে ইলিশ খেতে পছন্দ করেন কলকাতার বাঙালি বাবুরা।

তবে বাংলাদেশের সরকার ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও ভারতের মাছবাজারে এখনো পাওয়া যাচ্ছে পদ্মার ইলিশ।দিল্লির সিআর পার্কের মার্কেট-১-এর একজন মাছ বিক্রেতা ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘গাজীপুরের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা আমাদের বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখন মিয়ানমার হয়ে আসছে। এতে ইলিশের দাম বেড়েছে। আমরা এক থেকে এক দশমিক তিন কেজি ওজনের বাংলাদেশি একটি ইলিশ ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। কয়েক মাস আগে এই মাছের দাম কিলোপ্রতি ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। এবারের দুর্গাপূজার সময়ও বাংলাদেশি ইলিশ পাওয়া যাবে। তবে সরবরাহজনিত সমস্যার কারণে টাকা বেশি গুনতে হবে।’

বাংলাদেশে ইলিশের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মাছটি রপ্তানি বন্ধ রাখে সরকার। ভারতের জন্য বরাবরই মনখোলা ছিলেন শেখ হাসিনা। তাই নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে যেকোনো উৎসবের আগে ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে পদ্মার ইলিশের বড় বড় চালান পাঠিয়েছেন তিনি। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের নিদর্শন হিসেবে এই নিয়ম অনুসরণ করে আসছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তবে ভারতে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তার এই নীতি থেকে সরে এসেছে নতুন সরকার।