রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের জেরে দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক বৈকল্য (পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার) বা পিটিএসডি’তে ভুগছে ইউক্রেনের বহু মানুষ। এই আতঙ্ক গাঁজা সেবনের মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। এই লক্ষ্যে চিকিৎসাগত কাজে মারিজুয়ানা বা গাঁজার ব্যবহার বৈধ করার পক্ষে সায় দিয়েছেন তারা।
গাঁজা সেবন বৈধকরণের বিষয়ে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৪০১ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২৮৪ জন, বিপক্ষে মাত্র ১৬ জন। এছাড়া, ভোটদানে বিরত থাকেন ৪০ জন এবং অনুপস্থিত ছিলেন ৩৩ জন আইনপ্রণেতা।
প্রস্তাবটি পেশ করেন ইউক্রেনীয় প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্মিহাল। নতুন আইনটি ছয় মাসের মধ্যেই কার্যকর হবে। ইউক্রেনে গাঁজার ব্যবহার বৈধকরণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছিল। চিকিৎসাগত কাজে এটি যেসব সুবিধা আনতে পারে তার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন অনেকে। অন্যরা আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন, চিকিৎসায় গাঁজার ব্যবহার বৈধ করলে দেশজুড়ে মাদক ব্যবসা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর ইউক্রেনে এই বিতর্ক নতুন গতি লাভ করে। রুশ বাহিনীর হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের বহু স্থাপনা-অবকাঠামো। এই ধ্বংসযজ্ঞের কারণে অনেকেই মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ভুগছেন বলে ধারণা করা হয়।
ইউক্রেনের নতুন আইনে গাঁজা উৎপাদন ও বিতরণের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে। গাঁজাযুক্ত যেকোনো ওষুধ পেতে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হবে। এছাড়া, গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে।