ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন পুতিন

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

আগামী বছরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হলে পুতিনের জন্য আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথ আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। ১৯৯৯ সালের শেষ দিনে পুতিনের হাতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন বরিস ইয়েলৎসিনের। ইতোমধ্যেই জোসেফ স্টালিনের পর থেকে রাশিয়ার অন্য যে কোনো শাসকের তুলনায় বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পুতিন।

ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া রাশিয়ার শীর্ষ সেনাদের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানে ভূষিত করেছেন পুতিন। রুশ সেনাদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক প্রদান ওই অনুষ্ঠানেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন পুতিন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আর্টিওম ঝোগা নােরে নামের এক সেনা সদস্য ‘হিরো অব রাশিয়া’ স্বর্ণপদক পেয়েছেন। সোভিয়েত যুগে ইউক্রেনে জন্মগ্রহণকারী এই সেনা সদস্য বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করছেন। তিনি পুতিনকে আবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসে অবস্থিত জর্জিয়েভস্কি হলে সেনাদের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুতিন বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াই করবো। পুতিনের এমন ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আর্টিওম ঝোগা বলেন, আমি খুবি খুশি যে তিনি আমার অনুরোধ রেখেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সব নাগরিক এই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানাবে।

গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল যে, পুতিন আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে প্রকৃতপক্ষে পুতিনের (৭১) জন্য নির্বাচন একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। রাষ্ট্রীয় সমর্থন, রাষ্ট্র-চালিত গণমাধ্যম এবং জনগণের ভিন্নমত না থাকায় তার জয় অনেকটাই নিশ্চিত বলা যায়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীও নেই বললেই চলে।

আগামী ১৭ মার্চ দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালে রাশিয়ার সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার থেকে ছয় বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের পরদিনই পুতিন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। ফেডারেশন কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে ১৬২ ভোটে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব পাস হয়েছে।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন পুতিন

আপডেট সময় ০১:২৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

আগামী বছরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হলে পুতিনের জন্য আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পথ আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে। ১৯৯৯ সালের শেষ দিনে পুতিনের হাতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিলেন বরিস ইয়েলৎসিনের। ইতোমধ্যেই জোসেফ স্টালিনের পর থেকে রাশিয়ার অন্য যে কোনো শাসকের তুলনায় বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পুতিন।

ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া রাশিয়ার শীর্ষ সেনাদের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মানে ভূষিত করেছেন পুতিন। রুশ সেনাদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক প্রদান ওই অনুষ্ঠানেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন পুতিন। লেফটেন্যান্ট কর্নেল আর্টিওম ঝোগা নােরে নামের এক সেনা সদস্য ‘হিরো অব রাশিয়া’ স্বর্ণপদক পেয়েছেন। সোভিয়েত যুগে ইউক্রেনে জন্মগ্রহণকারী এই সেনা সদস্য বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করছেন। তিনি পুতিনকে আবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসে অবস্থিত জর্জিয়েভস্কি হলে সেনাদের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুতিন বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াই করবো। পুতিনের এমন ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আর্টিওম ঝোগা বলেন, আমি খুবি খুশি যে তিনি আমার অনুরোধ রেখেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সব নাগরিক এই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানাবে।

গত মাসে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল যে, পুতিন আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে প্রকৃতপক্ষে পুতিনের (৭১) জন্য নির্বাচন একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। রাষ্ট্রীয় সমর্থন, রাষ্ট্র-চালিত গণমাধ্যম এবং জনগণের ভিন্নমত না থাকায় তার জয় অনেকটাই নিশ্চিত বলা যায়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীও নেই বললেই চলে।

আগামী ১৭ মার্চ দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালে রাশিয়ার সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার থেকে ছয় বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের পরদিনই পুতিন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন। ফেডারেশন কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে ১৬২ ভোটে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব পাস হয়েছে।