ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্টোর রুমে মিললো মাদরাসাছাত্রের গলাকাটা মরদেহ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়াখালীতে ইফতেখার মালেকুল মাশফি নামের সাত বছর বয়সী এক মাদরাসাছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে বোয়াখালীর পশ্চিম চরনদ্বীপ হযরত মওলানা অছিয়র রহমান হেফজখানায় স্টোর রুম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

মাশফি উপজেলার চরনদ্বীপ ইউনিয়নের ফকিরাখালী গ্রামের প্রবাসী আবদুল মালেকের ছেলে। স্থানীয় চরনদ্বীপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ঘটনাস্থলে বোয়ালখালী থানা পুলিশের ওসিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন। মাদরাসার সব শিক্ষকদের আটক করা হয়েছে। তবে এর আগে দুই শিক্ষক পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জানতে বেশ কয়েকবার ফোন দেওয়া হলে ওসি আবদুল করিম রিসিভ করেননি। পরে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আখতার জানান, চরনদ্বীপ মওলানা অছিয়র রহমান হেফজ খানায় একজন ছাত্রকে গলাকেটে হত্যার বিষয়টি আমরা অবগত। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।

মাশফির দুর সম্পর্কের মামা জালাল উদ্দিন ইমন বলেন, ‘ছেলেটির বাবা আবদুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে আবুধাবিতে থাকেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মাশফি ছোট। গত অক্টোবরে হেফজখানায় ভর্তি হয়। আজ (শনিবার) সকাল ৭টার দিকে মাদরাসার এক শিক্ষক জানান সে নানার বাড়িতে পালিয়েছে।’

এরপর মাশফির মামা মাসুদ খোঁজাখুঁজির পর মাদরাসার দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে লেপ চাপা অবস্থায় গলাকাটা অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

মাশফির মা ইয়াসমিন আক্তার খানম  বলেন, ‘আমার ছেলেকে গত অক্টোবর থেকে মাদরাসায় পড়তে দিয়েছি। তাকে প্রায় প্রতিদিনই আমার বড় দুই ছেলে দেখে আসতো। সে কখনো মাদরাসার গেটের বাইরে বের হতো না। এখন আমার কলিজার টুকরোটাকে গলাকেটে হত্যা করেছে পাষণ্ডরা।

ট্যাগস

স্টোর রুমে মিললো মাদরাসাছাত্রের গলাকাটা মরদেহ

আপডেট সময় ০১:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়াখালীতে ইফতেখার মালেকুল মাশফি নামের সাত বছর বয়সী এক মাদরাসাছাত্রের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে বোয়াখালীর পশ্চিম চরনদ্বীপ হযরত মওলানা অছিয়র রহমান হেফজখানায় স্টোর রুম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

মাশফি উপজেলার চরনদ্বীপ ইউনিয়নের ফকিরাখালী গ্রামের প্রবাসী আবদুল মালেকের ছেলে। স্থানীয় চরনদ্বীপ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ঘটনাস্থলে বোয়ালখালী থানা পুলিশের ওসিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন। মাদরাসার সব শিক্ষকদের আটক করা হয়েছে। তবে এর আগে দুই শিক্ষক পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জানতে বেশ কয়েকবার ফোন দেওয়া হলে ওসি আবদুল করিম রিসিভ করেননি। পরে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আখতার জানান, চরনদ্বীপ মওলানা অছিয়র রহমান হেফজ খানায় একজন ছাত্রকে গলাকেটে হত্যার বিষয়টি আমরা অবগত। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।

মাশফির দুর সম্পর্কের মামা জালাল উদ্দিন ইমন বলেন, ‘ছেলেটির বাবা আবদুল মালেক দীর্ঘদিন ধরে আবুধাবিতে থাকেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে মাশফি ছোট। গত অক্টোবরে হেফজখানায় ভর্তি হয়। আজ (শনিবার) সকাল ৭টার দিকে মাদরাসার এক শিক্ষক জানান সে নানার বাড়িতে পালিয়েছে।’

এরপর মাশফির মামা মাসুদ খোঁজাখুঁজির পর মাদরাসার দ্বিতীয় তলার স্টোর রুমে লেপ চাপা অবস্থায় গলাকাটা অবস্থায় মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।

মাশফির মা ইয়াসমিন আক্তার খানম  বলেন, ‘আমার ছেলেকে গত অক্টোবর থেকে মাদরাসায় পড়তে দিয়েছি। তাকে প্রায় প্রতিদিনই আমার বড় দুই ছেলে দেখে আসতো। সে কখনো মাদরাসার গেটের বাইরে বের হতো না। এখন আমার কলিজার টুকরোটাকে গলাকেটে হত্যা করেছে পাষণ্ডরা।