ক্রীড়া ডেক্স :ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ফেরানোর ফল ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চ্যাম্পিয়নস লিগে আরেকবার বাধভাঙা উল্লাসে মাতলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। আরেকবার রেড ডেভিলদের জয়ের নায়ক রোনালদো।
অতিরিক্ত সময়ে ‘মি. চ্যাম্পিয়ন লিগ’র গোলে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে ইউনাইটেড।
চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজাই বটে রোনালদো। এখন পর্যন্ত ১৭৮ ম্যাচ খেলে ১৩৬ গোল করেছেন তিনি। জিতেছেন ৫ শিরোপা। ইউনাইটেডও তাদের অফিশিয়াল টুইটার পেজে সিআর সেভেনের গোল উদ্যাপনের দু্টি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছে, ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টেলম্যান: মি. চ্যাম্পিয়ন লিগ। রোনালদো।’
গত মৌসুমের ইউরোপা লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইউনাইটেড-ভিয়ারিয়াল। যেখানে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে জিতে শিরোপা উদ্যাপনে মেতেছিল উনাই এমেরির শিষ্যরা। সেই ফাইনালে ছিলেন না রোনালদো।
তবে এবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরলেন তিনি। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ইউনাইটেডকেও বাঁচালেন আরেকটি হতাশার রাত থেকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ ব্যবধানে শেষ হতে বসেছিল। কিন্তু রোনালদো যেখানে, সেখানে জয়ের আশা কীভাবে হারায় ওলে গানার সুলশারের দল! ঠিকই শেষ মুহূর্তে জ্বলে ওঠে ইউনাইটেডকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দিলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার।
শুরুতে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল ভিয়ারিয়াল। প্রথমার্ধ ম্যাচটি গোলশূন্য কাটলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে যায় এমেরির শিষ্যরা। আরনাউত দানহুমার পাস থেকে ৫৩তম মিনিটে ইউনাইটেডের জালে বল পাঠান পাকো আলকাসের।
তবে ব্যবধান বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ভিয়ারিয়াল। সাত মিনিট পরেই ডি-বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনিভাবে ব্রুনো ফার্নান্দেসের ভাসিয়ে দেওয়া বলে দুর্দান্ত এক হাফ ভলিতে ইউনাইটেডকে সমতায় ফেরান লেফ্ট-ব্যাক অ্যালেক্স তেলার। এরপর যখন সবাই ধরে নিল নিশ্চিত ড্রয়ের, তখনই উচ্ছ্বাসে ভেঙে পড়ল ওল্ড ট্রাফোর্ড।
ম্যাচের তখন নির্ধারিত সময় শেষ। চলছে অতিরিক্ত পঞ্চম মিনিটের খেলা। হেসে লিংগার্ড বল ঢুকে পড়ে ডি-বক্সের ভেতরে। সামনে ছিলেন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। কিন্তু তাকে ঘিরে ছিল ভিয়ারিয়াল দুই ডিফেন্ডার। লিংগার্ড বুদ্ধি করে পাস দেন পাশে থাকা রোনালদোকে। শেষ মুহূর্তে এমন সুযোগ হাতছাড়া করেননি ৩৬ বছর বয়সী তারকা। নেন জোরালো শট। গোলরক্ষক রুলি হাত দিয়ে ঠেকাতে চেয়েও পারেননি। বল চল যায় ভিয়ারিয়ালের জালে।
এই জয়ে চার দলের গ্রুপে তৃতীয় স্থানে আছে ইউনাইটেড। ২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩। সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে ভিয়ারিয়াল। ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আটালান্টা। আরেক ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাবটি ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারিয়েছে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা ইয়ং বয়েজকে।