ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যখন ডট বল ‘গলার কাঁটা’

ক্রীড়া ডেক্স : ১২০ বলের ইনিংসে ৪৭ বলই ডট! ভাবা যায়? মানে ইনিংসের এক তৃতীয়াংশ বলই ডট। মাত্রাতিরিক্ত ডট বল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ‘গলার কাঁটা’! ১২০ বলের খেলায় ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারার ব্যর্থতা সাফল্যের পথে বড় বাধা। 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৭ বল ডট খেলে ব্যাটসম্যানরা আঙুল তুললেন নিজেদের দিকে। অবশ্য এবারই প্রথম হলো এমনটা নয়। এর আগের দুই সিরিজেও ডট বল ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইনিংসে ডট বল ছিল যথাক্রমে ৩৫, ৫৪ ও ৩৬টি। ৫৪ ডট বলের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছিল। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫৩ বলই ছিল ডট। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬ ওভারের ম্যাচে ডট বল ৩৬টি। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১০ ওভারের ম্যাচে ডট বল ২৬টি।

ডট বলের প্রকোপে বড় স্কোরের সম্ভবনা কমে যায় শুরুতে থেকেই। শুরুর চাপ পরবর্তীতে নিতে পারেন না ব্যাটসম্যানরা। বড় দলগুলো স্ট্রাইক রোটেট করে শুরু থেকেই কমান চাপ। পরবর্তীতে বাজে বল শাসন করে বড় স্কোর গড়েন অনায়াসে।

কিন্তু স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারায় প্রবল চাপে ব্যাটিং করতে হয় ব্যাটসম্যানদের। ফলে বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে রান বাড়াতে গিয়ে কখনো সফল হন তারা, কখনো ব্যর্থ হন।

গতকাল বাংলাদেশের ইনিংস ছিল একেবারেই মন্থর। প্রথম ওভারে ৬ রানের পর ১৬তম ওভারে রান রেট ৬ অতিক্রম করে। বাকিটা সময় অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২২ গজে কঠিন পরীক্ষা দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের ব্যাটিং মন্থর হওয়ার পেছনে অজিদের ধারাবাহিক বোলিং ও উইকেট বড় কারণ।

বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের ধাঁধায় ফেলছিলেন স্টার্ক, টাই, জাম্পারা। নিয়মিত ডট বলে বাড়ছিল চাপ। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, নাঈমরা টাইমিংয়ে গড়বড় করায় বাউন্ডারিও আসছিল না। গোটা ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল মাত্র ১১টি (৮ চার ও ৩ ছক্কা) । ৩ ছক্কার দুটিই মেরেছেন নাঈম, একটি মাহমুদউল্লাহ।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ ফের মুখোমুখি হবে দুই দল। বোলাররা প্রথম ম্যাচে আলো ছড়িয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আজ দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটসম্যান। সেজন্য ডট বলের বৃত্ত থেকেও বের হয়ে আসতে হবে তাদের।

ট্যাগস

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

যখন ডট বল ‘গলার কাঁটা’

আপডেট সময় ০১:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

ক্রীড়া ডেক্স : ১২০ বলের ইনিংসে ৪৭ বলই ডট! ভাবা যায়? মানে ইনিংসের এক তৃতীয়াংশ বলই ডট। মাত্রাতিরিক্ত ডট বল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ‘গলার কাঁটা’! ১২০ বলের খেলায় ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারার ব্যর্থতা সাফল্যের পথে বড় বাধা। 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৭ বল ডট খেলে ব্যাটসম্যানরা আঙুল তুললেন নিজেদের দিকে। অবশ্য এবারই প্রথম হলো এমনটা নয়। এর আগের দুই সিরিজেও ডট বল ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ইনিংসে ডট বল ছিল যথাক্রমে ৩৫, ৫৪ ও ৩৬টি। ৫৪ ডট বলের ম্যাচে বাংলাদেশকে হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছিল। নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫৩ বলই ছিল ডট। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬ ওভারের ম্যাচে ডট বল ৩৬টি। শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১০ ওভারের ম্যাচে ডট বল ২৬টি।

ডট বলের প্রকোপে বড় স্কোরের সম্ভবনা কমে যায় শুরুতে থেকেই। শুরুর চাপ পরবর্তীতে নিতে পারেন না ব্যাটসম্যানরা। বড় দলগুলো স্ট্রাইক রোটেট করে শুরু থেকেই কমান চাপ। পরবর্তীতে বাজে বল শাসন করে বড় স্কোর গড়েন অনায়াসে।

কিন্তু স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারায় প্রবল চাপে ব্যাটিং করতে হয় ব্যাটসম্যানদের। ফলে বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে রান বাড়াতে গিয়ে কখনো সফল হন তারা, কখনো ব্যর্থ হন।

গতকাল বাংলাদেশের ইনিংস ছিল একেবারেই মন্থর। প্রথম ওভারে ৬ রানের পর ১৬তম ওভারে রান রেট ৬ অতিক্রম করে। বাকিটা সময় অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২২ গজে কঠিন পরীক্ষা দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের ব্যাটিং মন্থর হওয়ার পেছনে অজিদের ধারাবাহিক বোলিং ও উইকেট বড় কারণ।

বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের ধাঁধায় ফেলছিলেন স্টার্ক, টাই, জাম্পারা। নিয়মিত ডট বলে বাড়ছিল চাপ। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, নাঈমরা টাইমিংয়ে গড়বড় করায় বাউন্ডারিও আসছিল না। গোটা ইনিংসে বাউন্ডারি ছিল মাত্র ১১টি (৮ চার ও ৩ ছক্কা) । ৩ ছক্কার দুটিই মেরেছেন নাঈম, একটি মাহমুদউল্লাহ।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ ফের মুখোমুখি হবে দুই দল। বোলাররা প্রথম ম্যাচে আলো ছড়িয়ে ম্যাচ জিতিয়েছেন। আজ দায়িত্ব নিতে হবে ব্যাটসম্যান। সেজন্য ডট বলের বৃত্ত থেকেও বের হয়ে আসতে হবে তাদের।