ক্রীড়া ডেক্স : ২৪ বছর আগে বক্সিং লড়াইয়ে এক কুখ্যাত ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন মাইক টাইসন। লড়াইয়ের একপর্যায়ে তিনি কামড়ে ধরেছিলেন প্রতিপক্ষ ইভান্দার হলিফিল্ডের কান।
টোকিও অলিম্পিকেও তেমন এক ঘটনার জন্ম দিলেন মরক্কোর ইউনেস বাআল্লা। অলিম্পিকের বক্সিং ম্যাচে তিনিও প্রতিপক্ষের কানে কামড় বসিয়ে দিয়েছেন।
হেভিওয়েট লড়াইয়ে বাআল্লার প্রতিপক্ষ ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ডেভিড নাইয়িকা। ১৬ রাউন্ডের এই ম্যাচে কোনও পয়েন্ট না পেয়ে হেরেছেন মরক্কোয়ান বক্সার।
তবে হারের সঙ্গে তিনি ম্যাচ থেকে বহিষ্কারও হয়েছেন।
কারণ লড়াইয়ের সময় তিনি কামড়ানোর জন্য বারবার প্রতিপক্ষের কানের কাছে মুখ নিয়ে যাচ্ছিলেন। এক ভিডিওতে দেখা যায়, বাআল্লা বেশ কয়েকবার নাইয়িকার কানে কামড় বসিয়েছেন।
তার এই আচরণ লক্ষ্য করেন রেফারি। যার কারণে ম্যাচ থেকে বহিষ্কার করা হয় বাআল্লাকে এবং ৫-০ ব্যবধানে জয়ী ঘোষণা করা হয় নাইয়িকাকে।
পরে নাইয়িকা বলেন, ‘সে পুরোপুরি কামড় দিতে পারেনি। তার মুখে গার্ড থাকায় এবং আমি ঘামতে থাকায় ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তাকে কী বলেছি মনে নেই। তবে আমি তার গালে আঘাত করেছি।’
নাইয়িকা অবশ্য এবারই প্রথম লড়াইয়ের সময় প্রতিপক্ষের কামড়ের শিকার হয়েছেন তা নয়। এর আগে গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসেও তাকে কামড়াতে চেয়েছিল প্রতিপক্ষ।
সেই ঘটনা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘এর আগে গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে প্রতিপক্ষ আমার বুকে কামড় দিয়েছিল। তবে আমি তাকে (বাআল্লা) বলছিলাম, এসো লড়ি, এটা অলিম্পিক।’
অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য ম্যাচ থেকে বহিষ্কার হওয়া ছাড়া আর কোনও বড় শাস্তি পেতে হচ্ছে কিনা বাআল্লাকে, তা এখনও জানা যায়নি।
তবে এমন ঘটনার জন্য বড় শাস্তি পেতে হয়েছিল টাইসনকে। লাস ভেগাসে হেভিওয়েট ওয়ার্ল্ড টাইটেলের লড়াইয়ে তিনি দুইবার কান কামড়েছিলেন হলিফিল্ডের। যার ফলে ম্যাচ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি ১৫ মাসের জন্য বক্সিং লাইসেন্সও হারাতে হয়েছিল টাইসনকে।