ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় মা-বাবাহারা শিশুদের ঠাঁই কোথায়?

ডেক্স রিপোর্ট :মহামারি করোনায় নাকাল পুরো ভারত। করোনায় মৃত্যু পরবর্তী ঘটনাগুলো আরও বেদনাদায়ক। পরিবারের সদস্যদের হারানোর পর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়ার মতো কেউ না থাকলে অনেকেরই জায়গা হচ্ছে এতিমখানায়। এমনকি অনেক শিশু জানতে পারে না তাদের বাবা-মায়ের মৃত্যুর খবর।

করোনা কেড়ে নিচ্ছে বাবা-মা কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের। চোখের সামনে এমন ভয়াবহ মৃত্যুতেও থেমে নেই কেউ। কষ্টের দিন চলমান থাকে এর পরও।

পরিবারের সবচেয়ে আপনজনদের হারিয়ে দিশেহারা শিশুরাও।

পাঁচ বছর বয়সী রুহি ও মাহি। তিন দিনের ব্যবধানে এরা হারিয়েছে বাবা-মাকে। তাদের লালন-পালনের ভার এখন পুরোটাই বয়োবৃদ্ধ দাদা-দাদির ওপর। শিশুগুলো জানেও না তাদের বাবা-মা আর নেই।

রুহি ও মাহির দাদা বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পরপরই মারা যায় তাদের মা। এখন ওরা আমাদের সঙ্গেই থাকে। বাবা-মায়ের মতো হয়তো তাদের বড় করতে পারব না, তারপরেও সাধ্যমতো চেষ্টা করব ওদের মনুষের মতো মনুষ করার।

করোনায় বাবা-মাকে হারিয়ে দেশটিতে কয়েক শ’ শিশুর জায়গা হয়েছে এতিমখানায়ও। ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়ার মতো কেউ না থাকায় হয়েছে এমনটা। এ অবস্থায় চরম উৎকন্ঠা আর শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।

এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, এই শিশুদের বাবা-মায়ের অসুস্থতার পরপরই করোনা পরীক্ষা করালে পজিটিভ আসে। তারা প্রায় সুস্থও হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ একদিন পরেই মারা যান তারা।

এমন দুর্দিনে পাশে থেকে এসব শিশুকে খাদ্য ও শিক্ষা সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন এতিমখানা কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগস

করোনায় মা-বাবাহারা শিশুদের ঠাঁই কোথায়?

আপডেট সময় ১১:১১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১

ডেক্স রিপোর্ট :মহামারি করোনায় নাকাল পুরো ভারত। করোনায় মৃত্যু পরবর্তী ঘটনাগুলো আরও বেদনাদায়ক। পরিবারের সদস্যদের হারানোর পর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়ার মতো কেউ না থাকলে অনেকেরই জায়গা হচ্ছে এতিমখানায়। এমনকি অনেক শিশু জানতে পারে না তাদের বাবা-মায়ের মৃত্যুর খবর।

করোনা কেড়ে নিচ্ছে বাবা-মা কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের। চোখের সামনে এমন ভয়াবহ মৃত্যুতেও থেমে নেই কেউ। কষ্টের দিন চলমান থাকে এর পরও।

পরিবারের সবচেয়ে আপনজনদের হারিয়ে দিশেহারা শিশুরাও।

পাঁচ বছর বয়সী রুহি ও মাহি। তিন দিনের ব্যবধানে এরা হারিয়েছে বাবা-মাকে। তাদের লালন-পালনের ভার এখন পুরোটাই বয়োবৃদ্ধ দাদা-দাদির ওপর। শিশুগুলো জানেও না তাদের বাবা-মা আর নেই।

রুহি ও মাহির দাদা বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পরপরই মারা যায় তাদের মা। এখন ওরা আমাদের সঙ্গেই থাকে। বাবা-মায়ের মতো হয়তো তাদের বড় করতে পারব না, তারপরেও সাধ্যমতো চেষ্টা করব ওদের মনুষের মতো মনুষ করার।

করোনায় বাবা-মাকে হারিয়ে দেশটিতে কয়েক শ’ শিশুর জায়গা হয়েছে এতিমখানায়ও। ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেওয়ার মতো কেউ না থাকায় হয়েছে এমনটা। এ অবস্থায় চরম উৎকন্ঠা আর শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।

এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, এই শিশুদের বাবা-মায়ের অসুস্থতার পরপরই করোনা পরীক্ষা করালে পজিটিভ আসে। তারা প্রায় সুস্থও হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ একদিন পরেই মারা যান তারা।

এমন দুর্দিনে পাশে থেকে এসব শিশুকে খাদ্য ও শিক্ষা সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন এতিমখানা কর্তৃপক্ষ।