ক্রীড়া ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শোয়েব মালিককে নিয়ে এক মন্তব্য করে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি।
গত মে মাসের মাঝামাঝিতে পাকিস্তানের স্যাটেলাইট চ্যানেল সামা টিভিতে নিজের অবসরের কারণ জানাতে গিয়ে বুমবুম আফ্রিদি বলেছিলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আমি আর ক্রিকেট খেলব না। ওই সময় শোয়েব মালিক অধিনায়ক হয়েছিলেন এবং দলের মধ্যে অনেক রাজনীতি চলছিল।
আফ্রিদির এমন বেফাঁস মন্তব্যের অন্তত ১৫ দিন পর মুখ খুললেন অভিজ্ঞ পাক অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। ৪০ ছুঁইছুঁই এ অলরাউন্ডার জানালেন, সেদিন একদম ঠিক বলেছিলেন আফ্রিদি।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শোয়েব মালিক বলেন, শহীদ আফ্রিদির অবসরে আমার অধিনায়কত্বের প্রভাব কতটা ছিল তা আমি জানি না। আমার মনে হয় তিনি তার বইয়ে সেই সম্পর্কে লিখেছেন। এর আগেও অধিনায়কত্ববিষয়ক বিব্রতকর প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছি। একই প্রশ্ন আগে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।
আমি বলেছিলাম, যদি আফ্রিদি বলেন যে, আমি অনেক তাড়াতাড়ি অধিনায়কত্ব পেয়েছিলাম, তা হলে তিনি ঠিকই বলছেন। অনেক সাক্ষাৎকারে আমি বলেছি যে, ২০০৭ সালে আমার যদি আজকের মতো অভিজ্ঞতা থাকত, তা হলে কোনোমতেই আমি ওই প্রস্তাব গ্রহণ করতাম না।
২০০৭ সালে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল শোয়েব মালিককে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৫ বছর। দলের জ্যেষ্ঠ তারকা শহীদ আফ্রিদি থাকতে শোয়েবকে কেন অধিনায়ক করা হলো, এ নিয়ে পাকিস্তান দলে বিস্তর বিতর্ক হয়।
মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে অবশ্য শোয়েব জবাব দিয়েছিলেন। তার অধীনে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ ২-১ জিতে পাকিস্তান। শোয়েবের নেতৃত্বে মোট ৩৬ ওয়ানডে খেলে ২৪টাই জিতেছিল পাকিস্তান। ১৭ টি-টোয়েন্টিতে জিতেছিল ১২টি। পাক দলের এমন দুর্দান্ত ফর্মের মধ্যে সেই সময় অবসর নেন শহীদ আফ্রিদি।
তথ্যসূত্র: ক্রিক ট্র্যাকার