ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

আইসিইউতে তালা, ভেতরে ৬ রোগীর লাশ রেখে পালালেন চিকিৎসকরা

ডেক্স রিপোর্ট : ভারতের একটি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬ রোগীর মৃত্যু হওয়ায় করোনা ওয়ার্ডের ভেতরে লাশ রেখেই তালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালটির চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।    

হরিয়ানা রাজ্যর গুরগাঁও জেলার কৃতী হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গত শুক্রবার রাতে হাসপাতালটিতে এক রোগীর আত্মীয় গিয়ে দেখেন হাসপাতাল একদম নীরব।

কোনো চিকিৎসক, নার্স বা অন্য কোনো স্টাফ কেউ নেই সেখানে। এ অবস্থায় তিনি আইসিইউতে চলে যান, যেখানে তার আত্মীয় ছিল। আইসিইউতে ঢুকেই তিনি দেখতে পান শুধু তার আত্মীয়ই নয়, ভেতরে আইসিইউ বেডে ও মেঝেতে ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় মরে পড়ে আছেন রোগীরা।

এ বিষয়ে দেশটির এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃতদের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালে অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে চিকিৎসক ও স্টাফরা আইসিইউতে রোগীদের ফেলে রেখে পালিয়ে যান। এসব ব্যক্তি মনে করছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে অবহেলার কারণেই অক্সিজেন সংকট ও রোগীদের মৃত্যু  হয়েছে।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসকরা হাসপাতাল ভবনেই অবস্থান করছিলেন। তারা মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়দের হামলার শিকার হতে পারেন, এই আশঙ্কায় তারা হাসপাতালের ক্যান্টিনে আত্মগোপন করেছিলেন।

হাসপাতলের পরিচালক স্বাতী রাঠোর বলেন, ওই দিন দুপুর ২টায় হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কথা সরকারি কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে বিকেল ৪টায় আবার সব রোগীর অভিভাবককে অক্সিজেন সংকটের কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনোদিক থেকে কোনো সাহায্য আসেনি। ফলে রাত ১১টা পর্যন্ত ৬ জন রোগী মারা যান।

তিনি স্বীকার করেন, তিনি নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য স্টাফদেরকে ক্যান্টিনে পালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ ৬ দিন আগে অন্য রোগীদের এটেনডেন্টরা এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সহিংস হয়ে উঠেছিলেন। ওই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় একটি অভিযোগও দিয়েছে।

স্বাতী রাঠোর বলেন, আমাদের হাসপাতালে এখনও ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী আছে। কিন্তু অক্সিজেন মজুত আছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার। আমাদের ২০টি খালি সিলিন্ডার মানেস্বর অক্সিজেন প্ল্যান্টে পড়ে আছে। কিন্তু এখনও সেগুলো ভর্তি করা যায়নি।

গুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক যশ গার্গ বলেন, হাসপাতালটি কোভিড হাসপাতাল হিসেবে নিবন্ধিত নয়। সেখানে এতগুলো মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে।

নিবন্ধন না থাকার জবাবে ড. রাঠোর বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি শুরু করতে মৌখিক অনুমতি পেয়েই তাদের ভর্তি করা হয়েছিল। এ ছাড়া নিবন্ধনের জন্য তার আবেদন পাঠিয়েছি আমরা।

ট্যাগস

বনি আমার প্রেমিক ছিল না,ওর সঙ্গে আর সিনেমা করব না: ঋত্বিকা সেন

আইসিইউতে তালা, ভেতরে ৬ রোগীর লাশ রেখে পালালেন চিকিৎসকরা

আপডেট সময় ০২:০৩:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১

ডেক্স রিপোর্ট : ভারতের একটি হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৬ রোগীর মৃত্যু হওয়ায় করোনা ওয়ার্ডের ভেতরে লাশ রেখেই তালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালটির চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে।    

হরিয়ানা রাজ্যর গুরগাঁও জেলার কৃতী হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গত শুক্রবার রাতে হাসপাতালটিতে এক রোগীর আত্মীয় গিয়ে দেখেন হাসপাতাল একদম নীরব।

কোনো চিকিৎসক, নার্স বা অন্য কোনো স্টাফ কেউ নেই সেখানে। এ অবস্থায় তিনি আইসিইউতে চলে যান, যেখানে তার আত্মীয় ছিল। আইসিইউতে ঢুকেই তিনি দেখতে পান শুধু তার আত্মীয়ই নয়, ভেতরে আইসিইউ বেডে ও মেঝেতে ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় মরে পড়ে আছেন রোগীরা।

এ বিষয়ে দেশটির এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃতদের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালে অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে চিকিৎসক ও স্টাফরা আইসিইউতে রোগীদের ফেলে রেখে পালিয়ে যান। এসব ব্যক্তি মনে করছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কর্তব্যে অবহেলার কারণেই অক্সিজেন সংকট ও রোগীদের মৃত্যু  হয়েছে।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চিকিৎসকরা হাসপাতাল ভবনেই অবস্থান করছিলেন। তারা মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয়দের হামলার শিকার হতে পারেন, এই আশঙ্কায় তারা হাসপাতালের ক্যান্টিনে আত্মগোপন করেছিলেন।

হাসপাতলের পরিচালক স্বাতী রাঠোর বলেন, ওই দিন দুপুর ২টায় হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের কথা সরকারি কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে বিকেল ৪টায় আবার সব রোগীর অভিভাবককে অক্সিজেন সংকটের কথা জানিয়েছি। কিন্তু কোনোদিক থেকে কোনো সাহায্য আসেনি। ফলে রাত ১১টা পর্যন্ত ৬ জন রোগী মারা যান।

তিনি স্বীকার করেন, তিনি নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য স্টাফদেরকে ক্যান্টিনে পালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ ৬ দিন আগে অন্য রোগীদের এটেনডেন্টরা এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় সহিংস হয়ে উঠেছিলেন। ওই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় একটি অভিযোগও দিয়েছে।

স্বাতী রাঠোর বলেন, আমাদের হাসপাতালে এখনও ৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী আছে। কিন্তু অক্সিজেন মজুত আছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার। আমাদের ২০টি খালি সিলিন্ডার মানেস্বর অক্সিজেন প্ল্যান্টে পড়ে আছে। কিন্তু এখনও সেগুলো ভর্তি করা যায়নি।

গুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক যশ গার্গ বলেন, হাসপাতালটি কোভিড হাসপাতাল হিসেবে নিবন্ধিত নয়। সেখানে এতগুলো মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে।

নিবন্ধন না থাকার জবাবে ড. রাঠোর বলেন, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি শুরু করতে মৌখিক অনুমতি পেয়েই তাদের ভর্তি করা হয়েছিল। এ ছাড়া নিবন্ধনের জন্য তার আবেদন পাঠিয়েছি আমরা।