ডেক্স রিপোর্ট :অবশেষে প্রাণ ফিরেছে ইংলিশ ফুটবলে। মাঠে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছেন দর্শকরা। করোনার কারণে গত বছর মার্চে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম এফ এ কাপের সেমিফাইনাল দিয়ে কাটল দর্শক খরা।
মাঠে প্রবেশের আগে মানা হয়েছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। এমন মাহেন্দ্রক্ষণে ম্যাচ দেখার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত দর্শকরা। চমৎকার এই ক্ষণটা স্মরণীয় করে রেখেছে লেস্টার সিটি। সাউদাম্পটনকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৫২ বছর পর এফ এ কাপের ফাইনালে উঠেছে ফক্সেস।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের আকাশটা অন্য সব দিনের তুলনায় ছিল একটু আলাদা। অনেক দিন পর স্টেডিয়ামে ফিরেছে প্রাণের সঞ্চার। করোনার থাবায় গেল বছর ২০ মার্চের পর আর ফুটবল মাঠে প্রবেশের সুযোগ পাননি দর্শকরা।
যুক্তরাজ্য সরকারের পরিকল্পনায় আছে ধীরে ধীরে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেয়ার। এরই মধ্যে শেফিল্ডে বিশ্ব স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপে কিছু সংখ্যক দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এবার ফুটবল মাঠেও খুলে গেল রুদ্ধ দুয়ার।
লেস্টার ও সাউদাম্পটনের চার হাজার সমর্থক পান ম্যাচ দেখার সুযোগ। তবে, তার আগে সবার করা হয়েছে করোনা পরীক্ষা। মাঠের প্রাণ দর্শক। তাদের উপস্থিতিটা স্মরণীয় করে রেখেছে ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি।
সবশেষ ১৯৬৯ সালে প্রথম এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছিল ফক্সেস। ম্যাচে সাউদাম্পটনের রক্ষণ চিড়ে বারবারই গোলের চেষ্টা করেছে লেস্টার। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি। অবশেষে ৫৫ মিনিটে লেস্টারের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ইহেনাচো।
এমন ক্ষণের সাক্ষী হতে পেরে খুশি সমর্থকরা।
সমর্থকরা জানা, আমি এর আগেও ওয়েম্বলিতে অনেকবার এসেছি। কিন্তু কখনোই এতটা আনন্দ অনুভব হয়নি। সত্যিই ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এভাবে একদিন মাঠে দর্শকদের উপস্থিতি আগের মতো হবে।
আগামী ১৫ মে এফ এ কাপের ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হবে লেস্টার। দেখার পালা আরও একবার রূপকথার রাজা হতে পারে কিনা ব্রেন্ডন রজার্স শিষ্যরা।