ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাটির ৮৫ ফুট নিচে ৫০০০ বছরের পুরনো খুলি!

বছর সাতেক আগে উত্তর ইটালির এক গুহায় একটি খুলির খোঁজ পান একদল অনুসন্ধানকারী। মাটির ৮৫ ফুট নিচে নেমে গেছে সঙ্কীর্ণ আঁকাবাঁকা পথ

দুর্গম সেই পথে নেমে খোঁজ মেলে রহস্যজনক ওই মানবখুলির!

এমন দুর্গম এক জায়গায় কীভাবে খুলিটি এলো? এসব জানতেই ২০১৭ সাল থেকে খুলিটি নিয়ে গবেষণার শুরু। এক প্রত্নতত্ত্ববিদের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দল গুহায় প্রবেশ করেন। প্রথমে তারা খুলিটি সঙ্গে করে আনেননি। পরে আবার গুহায় ঢুকে খুলিটি গবেষণাগারে নিয়ে আসেন। এবং পুরোদস্তুর গবেষণা আরম্ভ করেন।

গবেষণায় প্রথমেই জানা যায়, খুলিটি এক নারীর। বয়স অন্তত ৫ হাজার বছর। কিন্তু এক নারী একা কীভাবে ভয়ানক দুর্গম ওই গুহায় গিয়েছিলেন তা জানতে বেশ কৌতূহলী হয়ে পড়েন বিজ্ঞানীরা।

যাই হোক, গবেষণায় ক্রমশ জানা যায়, মৃত্যুর আগে দীর্ঘ দিন অপুষ্টিতে ভুগেছিলেন ওই নারী। এ-ও জানা যায়, মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে মাংস খুবলে নেয়া হয়েছিল। কেন?

এসব রহস্যের সমাধান হয়নি। তবে একটা বিষয় জানা গেছে, ওই গুহাটির কিছু দূরে মানুষের হাড়গোড়ের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা।

জানা যায়, সেটি ছিল অতীতের কবরস্থান। আগে এর পাশ দিয়েই জলস্রোত বইত। সেই জলধারা ঢুকত গুহার ভিতরেও। ওই পানির টানেই হয়তো কোনও ভাবে কোনও কঙ্কালের ধড় থেকে নরকপালটি বিচ্ছিন্ন হয় স্রোতে ভেসে গুহায় পৌঁছায়!

ট্যাগস

মাটির ৮৫ ফুট নিচে ৫০০০ বছরের পুরনো খুলি!

আপডেট সময় ০৭:১৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১

বছর সাতেক আগে উত্তর ইটালির এক গুহায় একটি খুলির খোঁজ পান একদল অনুসন্ধানকারী। মাটির ৮৫ ফুট নিচে নেমে গেছে সঙ্কীর্ণ আঁকাবাঁকা পথ

দুর্গম সেই পথে নেমে খোঁজ মেলে রহস্যজনক ওই মানবখুলির!

এমন দুর্গম এক জায়গায় কীভাবে খুলিটি এলো? এসব জানতেই ২০১৭ সাল থেকে খুলিটি নিয়ে গবেষণার শুরু। এক প্রত্নতত্ত্ববিদের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দল গুহায় প্রবেশ করেন। প্রথমে তারা খুলিটি সঙ্গে করে আনেননি। পরে আবার গুহায় ঢুকে খুলিটি গবেষণাগারে নিয়ে আসেন। এবং পুরোদস্তুর গবেষণা আরম্ভ করেন।

গবেষণায় প্রথমেই জানা যায়, খুলিটি এক নারীর। বয়স অন্তত ৫ হাজার বছর। কিন্তু এক নারী একা কীভাবে ভয়ানক দুর্গম ওই গুহায় গিয়েছিলেন তা জানতে বেশ কৌতূহলী হয়ে পড়েন বিজ্ঞানীরা।

যাই হোক, গবেষণায় ক্রমশ জানা যায়, মৃত্যুর আগে দীর্ঘ দিন অপুষ্টিতে ভুগেছিলেন ওই নারী। এ-ও জানা যায়, মৃত্যুর পর তার শরীর থেকে মাংস খুবলে নেয়া হয়েছিল। কেন?

এসব রহস্যের সমাধান হয়নি। তবে একটা বিষয় জানা গেছে, ওই গুহাটির কিছু দূরে মানুষের হাড়গোড়ের সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা।

জানা যায়, সেটি ছিল অতীতের কবরস্থান। আগে এর পাশ দিয়েই জলস্রোত বইত। সেই জলধারা ঢুকত গুহার ভিতরেও। ওই পানির টানেই হয়তো কোনও ভাবে কোনও কঙ্কালের ধড় থেকে নরকপালটি বিচ্ছিন্ন হয় স্রোতে ভেসে গুহায় পৌঁছায়!