ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত বিসিবি একাদশ

ক্রীড়া ডেক্সঃ  ওয়ানডে সিরিজ যতটা সহজ ছিল, টেস্ট সিরিজ ততটা হবে না- গত কয়েকদিন ধরেই বলাবলি হচ্ছে এ কথা। যার প্রমাণ মিলছে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও। যেখানে বিসিবি একাদশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।

শনিবার প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন মাত্র ১৬০ রানে অলআউট হয়ে গেছে বিসিবি একাদশ। যার ফলে ৯৭ রানের লিড পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। অফস্পিনার রাহকিম কর্নওয়াল এবং বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়েছে বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানরা। কর্নওয়াল ৫ ও ওয়ারিকান নিয়েছেন ৩ উইকেট।

ম্যাচের প্রথম দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ২৫৭ রানের জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান করে বিসিবি একাদশ। সেই ৮ ওভারে দারুণ ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। তবে আজ কেমার রোচের করা দিনের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরে যান ৩৩ বলে ১৫ রান করা সাইফ হাসান।

দ্বিতীয় উইকেটে সাদমান ইসলামকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন নাইম শেখ। যেখানে অনেকটা ওয়ানডে মেজাজেই ব্যাট করেন নাইম। তবে দলীয় ১০০ পার হওয়ার আগেই এ জুটি ভাঙেন কর্নওয়াল। হাফসেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে যাওয়া নাইমকে বোল্ড করেন অফস্পিনার।

আউট হওয়ার আগে ৯ চারের মারে ৪৮ বলে ৪৫ রান করেন নাইম।সাদমান-নাইমের ৭৪ রানের জুটি ভাঙার পর ছোট্ট ধ্বস নামে বিসিবি একাদশের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের ২৬তম ওভারের শেষ বল থেকে ২৮তম ওভারের দ্বিতীয় বল পর্যন্ত ৯ বলের মধ্যে মাত্র ২ রানের ব্যবধানেই ৩ উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ। যেখানে কর্নওয়ালের শিকার দুইটি, আলঝারি জোসেফ নেন একটি।

২৬তম ওভারের শেষ বলে নাইম ফেরার পর ২৭তম ওভারের শেষ বলে আলঝারির জোসেফের শিকারে পরিণত হন টেস্ট মেজাজে ৮২ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলা সাদমান। ঠিক পরের ওভারে কর্নওয়ালের বলে কাভেম হজের হাতে ধরা পড়েন ইয়াসির আলি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে ১ উইকেটে ৯৮ থেকে ৪ উইকেটে ১০০ রানের দলে পরিণত হয় বিসিবি একাদশ।

সেখান থেকে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর বিপদ ঘটতে দেননি শাহাদাত হোসেন দীপু এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ইনিংসের ৩৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় বিসিবি একাদশ। সোহান ৭ ও দীপু ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তখন।

বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় সেশনে আর মাত্র ১৩.৪ ওভারেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বিসিবি একাদশ। এর মধ্যে তিনটি উইকেট নিয়েছেন কর্নওয়াল। সবমিলিয়ে ১৬.৪ ওভারে ৪৭ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার তার। এছাড়া ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান।

শেষদিকে একাই লড়েছেন নুরুল সোহান। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৩০ রান। বিসিবি একাদশ ১৬০ রানে থামায় ৯৭ রানের লিড পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিনে প্রায় ৪৮ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে তারা।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত বিসিবি একাদশ

আপডেট সময় ০৩:৫১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

ক্রীড়া ডেক্সঃ  ওয়ানডে সিরিজ যতটা সহজ ছিল, টেস্ট সিরিজ ততটা হবে না- গত কয়েকদিন ধরেই বলাবলি হচ্ছে এ কথা। যার প্রমাণ মিলছে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও। যেখানে বিসিবি একাদশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল।

শনিবার প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন মাত্র ১৬০ রানে অলআউট হয়ে গেছে বিসিবি একাদশ। যার ফলে ৯৭ রানের লিড পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। অফস্পিনার রাহকিম কর্নওয়াল এবং বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়েছে বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানরা। কর্নওয়াল ৫ ও ওয়ারিকান নিয়েছেন ৩ উইকেট।

ম্যাচের প্রথম দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ২৫৭ রানের জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান করে বিসিবি একাদশ। সেই ৮ ওভারে দারুণ ব্যাটিং করেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও সাইফ হাসান। তবে আজ কেমার রোচের করা দিনের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে সাজঘরে ফিরে যান ৩৩ বলে ১৫ রান করা সাইফ হাসান।

দ্বিতীয় উইকেটে সাদমান ইসলামকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন নাইম শেখ। যেখানে অনেকটা ওয়ানডে মেজাজেই ব্যাট করেন নাইম। তবে দলীয় ১০০ পার হওয়ার আগেই এ জুটি ভাঙেন কর্নওয়াল। হাফসেঞ্চুরির কাছে পৌঁছে যাওয়া নাইমকে বোল্ড করেন অফস্পিনার।

আউট হওয়ার আগে ৯ চারের মারে ৪৮ বলে ৪৫ রান করেন নাইম।সাদমান-নাইমের ৭৪ রানের জুটি ভাঙার পর ছোট্ট ধ্বস নামে বিসিবি একাদশের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের ২৬তম ওভারের শেষ বল থেকে ২৮তম ওভারের দ্বিতীয় বল পর্যন্ত ৯ বলের মধ্যে মাত্র ২ রানের ব্যবধানেই ৩ উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ। যেখানে কর্নওয়ালের শিকার দুইটি, আলঝারি জোসেফ নেন একটি।

২৬তম ওভারের শেষ বলে নাইম ফেরার পর ২৭তম ওভারের শেষ বলে আলঝারির জোসেফের শিকারে পরিণত হন টেস্ট মেজাজে ৮২ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলা সাদমান। ঠিক পরের ওভারে কর্নওয়ালের বলে কাভেম হজের হাতে ধরা পড়েন ইয়াসির আলি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে ১ উইকেটে ৯৮ থেকে ৪ উইকেটে ১০০ রানের দলে পরিণত হয় বিসিবি একাদশ।

সেখান থেকে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আর বিপদ ঘটতে দেননি শাহাদাত হোসেন দীপু এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ইনিংসের ৩৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় বিসিবি একাদশ। সোহান ৭ ও দীপু ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তখন।

বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় সেশনে আর মাত্র ১৩.৪ ওভারেই বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বিসিবি একাদশ। এর মধ্যে তিনটি উইকেট নিয়েছেন কর্নওয়াল। সবমিলিয়ে ১৬.৪ ওভারে ৪৭ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার তার। এছাড়া ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান।

শেষদিকে একাই লড়েছেন নুরুল সোহান। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ৩০ রান। বিসিবি একাদশ ১৬০ রানে থামায় ৯৭ রানের লিড পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিনে প্রায় ৪৮ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে তারা।