স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁর পাইকারী আড়তে ব্যাপক দর কমে গেছে শীতের সবজির। সরবরাহের তুলনায় পাইকার না থাকায় দাম কম বলছেন বেপারীরা ।
চাষীদের অভিযোগ স্থানীয় বেপারীরা বাজার নিয়ন্ত্রন করায় নায্যহ দর থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন । দর কমার কারণে উৎপাদন খরচ মিলছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের ।
সকালের আলো বাড়ার সাথে ক্রেতা বিক্রেতার হাক ঢাকে সবজির পাইকারী বেচা কেনা জমে উঠে নওগাঁ সদর উপজেলার তেতুলিয়া হাটে । সরবরাহ বাড়ায় সব ধরনের শীতের সবজির দর কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে কিনছেন বেপারীরা । কখনো অতিবৃষ্টি আবার কখনো তীব্র খড়া এমন নানা প্রতিকুৃল পরিবেশ মোকাবিলার পর ফলানো সবজি বিক্রির জন্যত হাটে অানছেন চাষীরা ।
কৃষকদের অভিযোগ, ব্যাবসায়ীদের নিয়ন্ত্রন বাজার ব্য্বস্থায় তাদের মুনাফা চলে যাচ্ছে অন্যপদের পকেটে গ্রামের প্রান্তিক হাটে সবজির দর কমলেও শহরের বাজারে অনেকটা দ্বিগুন দর ।
পার্শবর্তী বষাইল গ্রাম থেকে ৩ মন শীম নিয়ে আসা সাইফুর জানান, গেল এক সপ্তাহ আগেও যে শীম বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা কেজি এখন তা ১৭ থেকে ১৮ টাকা বলছে । হাটে বেগুন কপি সহ বিভিন্ন সবজির সরবরাহ সব চাইতে বেশি । ৯০ পিছ ফুলকপি নিয়ে আসা জাহিদুল জানান, মাত্র ৬ টাকা করে দাম বলছে বেপারীরা । এতে তার খুব লোকসান হবে বলে জানান ।
একই ক্ষোভ অনেক কৃষকই তুলে ধরেন, তারা বলেন, কীটনাশক সহ বিভিন্ন বালাই নাষকের চড়া দাম কিন্ত তার তুলনায় সবজির দর কমে যাচ্ছে দফায় দফায় ।
সবজির দাম তেতুলিয়া হাটে ( মুলা ২ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, শিম ২০ টাকা, লাউ পিস ১০ টাকা, ফুলকপি ৮, পাতা কপি ৯ টাকা বরবটি কেজি ৩০, পিয়াজ পাতা ২০ টাকা কেজি, আলু ৫০ টাকা ) ব্যাবসায়ীরা সবজির দর নিয়ন্ত্রন করায় কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ কৃষকদের ।
তেতুলিয় কৃষি বাজার ব্যকবস্থাপনার সভাপতি মো: এস এম নজরুল ইসলাম, বলেন, আপনি মাত্র ১৫ কিলোমিটার দুরের শহরের হাটে যাবেন সেখানে দ্বিগুন দরে আপনাকে কিনতে হবে সবজির । কিন্ত এখানে বেপারী নাই তাই কম দামে কিনছে স্থানীয় আড়তদারা । সরবরাহ বাড়ায় প্রতি হাটে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার সবজি কেনাবেচা হয় ।
সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার বসে এ হাট ।