স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: ৫০ জন প্রসূতি নারীর জন্য ভাতা কার্ড পেয়েছেন । এক কালীন ১২ হাজার টাকা সহ ৩ দফায় মোট ২৮ হাজার টাকা করে এসব নারী পাবেন । ৪৩ হাজার বাসিন্দার এ ইউনিয়নে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর । কম বেশি ১ হাজার প্রসুতি নারী রয়েছে এ ইউনিয়নে । যাদের মধ্যে নেহায়েত অসচ্ছল রয়েছে ৫শ অধিক ।
যে কোন ভাতা কার্ডের অসিম চাহিদা থাকবে তা আর বলার দরকার পড়ে না । ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে নওগাঁ সদর উপজেলার ৯ নং ইউনিয়ন চন্ডিপুর । চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন বেদারুল ইসলাম মুকুল । দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদ কে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে বিরামহীন কাজ করছেন তিনি ।
জনমুখে তার বেশ সু খ্যাতি উল্লেখ যোগ্য কিছু কাজের জন্য । সব কাজ কে তিনি নিষ্টা আর সততার প্যারা মিটার দিয়ে করার কারণে কিছু লোকের বিরাগ ভাজন চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম । কাজ আর সততার সাথে আপোস নেই তার কাছে । কথা আর কাজের মাঝে কোন ফারাক না রেখেই পরিচালনা করছেন ইউনিয়ন পরিষদ । দরিদ্র মানুষের জন্য যে বরাদ্দ উপকার ভুগীর কাছে পৌছে দিতে সবার আগে তিনি মাইকিং জানিয়ে ইউনিয়ন বাসীকে । এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তার বরাদ্দের বার্তা ।
ইউনিয়নের ৫০ জন প্রসূতি নারীর জন্য বরাদ্দ পেয়েছেন । সে বরাদ্দ প্রকৃত উপকার ভুগীর কাছে পৌছে দিতে এবারো একই পথ বেঁচে নেন চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম । সাড়া ইউনিয়ন জুড়ে ৩ দিন ধরে মাইকিং করে ঘোষনা দেন সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সদ্য ভুমিষ্ট অথবা গর্ভ বতী নারীরা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে তাদের আইডি কার্ডের ছবি ইউনিয়ন পরিষদের বাক্সে জমা দিবেন । এ আহবানে ৩৮৫ নারীর আবেদন জমা পড়ে বাক্সে । এর মধ্যে নীতিমালার মধ্যে না পড়ায় যাচাই শেষে প্রকৃত উপকার ভুগী ৯৯ জন নারীর তালিকা করা হয় ।
এ তালিকার নাম দিয়ে চির কুট তৈরি করে বাক্সে ফেলা হয় । এর পর লটারীর আয়োজন । রোববার দুপুর ১২ টায় ইউনিয়নে পরিষদ ভবনে বিপুল মানুষের সমাগমে চলে প্রকাশ্য এ লটারীর আয়োজন ।
অপেক্ষ মান নারী ও পুরুষের সামনে বাক্স থেকে একে একে কাগজ তুলেন চোঁখ বন্ধ করা এক ব্যাক্তি । লটারীতে যাদের নাম উঠে ৯ টি ইউনিয়নের মোট ৫০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ্য দেখান চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম মুকুল ।
উপস্থিত নারী ও পুরুষের মাঝে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এমন স্বচ্ছতার ভুয়সা প্রসংশা শুনতে পাওয়া যায় । ইউনিয়নের গংগা পাড়া এলাকার জহুরুল ইসলাম, উত্তর পাড়া দুলাল হোসেন এবং শিমুলিয়া এলাকার মালেক মন্ডল বলেন, অত্যান্ত সত মানুষের পক্ষেই এমন নজির তৈরি করা সম্ভব যা চেয়ারম্যান করে দেখালেন । তিনি আপন পর বা স্বার্থে উর্দ্ধে সব কাজ করে যা আজও অনন্য নজির দেখালেন ।
গাংজোয়ার এলাকার নিপা বানু । তার নাম লটারীতে উঠেছে । তিনি বলেন, আমি শুধু মাত্র একটি আইডি কার্ড বাক্সে জমা দিয়েছি । তার পর ভাগ্যর উপর ভর করে আজ এখানে এসেছি । তবে লটারীতে নাম উঠায় শুকরিয়া জ্ঞাপন করি । সে সাথে সত ও নিষ্টাবান চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম সাহেবের জন্য দোয়া করি তিনি যেন এমন সততার সাথে চলতে পারেন ।
ওই ইউনিয়নের আরেক নারী সম্পা আক্তার বলেন আমিও নাম দিয়েছিলাম । তবে লটারীতে উঠেনি । এতে আমার দু:খ নেই । কারণ অত্যান্ত সততার সাথে ভাতা কার্ড দেওয়া হয়েছে এটাই আমার কাছে আনন্দের । বিগত দিনে এসব ভাতা কার্ড বা কোন সুফল আমরা জানতে পারতাম না । এখন সব কিছু জানতে পারি আর যারা হকদার তারা পাচ্ছে এটাই বড় আনন্দের যোগ করে বলেন নিপা ।
চেয়ারমান বেদারুল ইসলাম বলেন, জন নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তার যথা যোগ্য পালন করতে চেষ্টা করছি মাত্র । এখানে প্রকৃত হকদারকে তার নায্য হক বুঝে দিতে পারলে জাতীর জনক ও তার কন্যার স্বপ্ন পুরণ হবে । আর সে স্বপ্ন পুরণে আমার মতো ছোট মানুষ সততার সাথে চেষ্টা করছি ।