ঢাকা ০১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ৯৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব

কোহলির ক্যাচ মিসের মহড়া, রাহুলের রেকর্ড সেঞ্চুরি

 ক্রীড়া ডেক্স: ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুলের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ভর করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ৯৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তবে রাহুলের সেঞ্চুরিতে বড় ভূমিকা আছে বিরাট কোহলিরও।

ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক একাই রাহুলের দুটি সহজ ক্যাচ মিস করেছেন। হার দিয়ে মৌসুম শুরু করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল রাহুলকে নিয়ে। তার অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সব সমালোচনার জবাব ব্যাট হাতেই দিলেন এই ডানহাতি।

ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে একাই খেললেন অপরাজিত ১৩২ রানের ইনিংস। সেই সঙ্গে শচীন টেন্ডুলকারের একটি রেকর্ডও ভেঙেছেন তিনি। তবে কোহলি যদি ক্যাচ দুটি মিস না করতেন, তাহলে ফলাফল অন্য রকমও হতে পারতো।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দুবাইয়ের মাঠে চলতি আইপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের পাহাড় গড়েছিল পাঞ্জাব। দলের এত বড় সংগ্রহে ৬৯ বল খেলে একাই ১৩২ রান করেন রাহুল, যাতে ছক্কার মার ছিল ৭টি এবং বাউন্ডারি ১৪টি। আইপিএল ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি।

ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এতদিন সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ২ হাজার রানের রেকর্ড ছিল শচীনের দখলে। ৬৩ ম্যাচ খেলে এই রেকর্ড গড়েছিলেন ‘লিটল মাস্টার’। তবে এই রেকর্ডের মালিক এখন রাহুল। ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে এই রেকর্ড ভাঙেন তিনি। এই রেকর্ড গড়তে তার লাগলো ৬০ ম্যাচ।

রাহুলের মোহাম্মদ শামি ও শেলডন কট্রেলের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে রীতিমত অসহায় হয়ে পড়েন ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটির অধিনায়ক অধিনায়ক কোহলির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান।

ফিঞ্চ (২০) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (২৮) কিছুটা চেষ্টা করেছিল বটে, কিন্তু পাওয়ার প্লে–র শেষ ওভারে বিষ্ণোই ফিঞ্চকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন। মুরগান অশ্বিনের বলে ২৮ রান করে ডি ভিলিয়ার্স ফিরতেই ব্যাঙ্গালুরুর সব আশা শেষ হয়ে যায়।

ওয়াশিংটন সুন্দর (৩০), শিবম দুবেরা (১২) শেষ চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি। ফলে ১৭ ওভারেই মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংস। অর্থাৎ রাহুলের একার রানই করতে পারেননি কোহলিরা।

বল হাতে শামি ১ উইকেট নিলেও ৩ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ১৪ রান। ২ উইকেট নেওয়া কট্রেল ১ ওভারে দিয়েছেন ১৭ রান। তবে সমান ৩টি করে উইকেট নিয়ে আসল কাজটি করে দিয়েছেন বিষ্ণোই এবং অশ্বিন। ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ৯৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব

আপডেট সময় ১১:৪৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

 ক্রীড়া ডেক্স: ভারতীয় ওপেনার লোকেশ রাহুলের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ভর করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে ৯৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। তবে রাহুলের সেঞ্চুরিতে বড় ভূমিকা আছে বিরাট কোহলিরও।

ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক একাই রাহুলের দুটি সহজ ক্যাচ মিস করেছেন। হার দিয়ে মৌসুম শুরু করায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল রাহুলকে নিয়ে। তার অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। সব সমালোচনার জবাব ব্যাট হাতেই দিলেন এই ডানহাতি।

ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে একাই খেললেন অপরাজিত ১৩২ রানের ইনিংস। সেই সঙ্গে শচীন টেন্ডুলকারের একটি রেকর্ডও ভেঙেছেন তিনি। তবে কোহলি যদি ক্যাচ দুটি মিস না করতেন, তাহলে ফলাফল অন্য রকমও হতে পারতো।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দুবাইয়ের মাঠে চলতি আইপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রানের পাহাড় গড়েছিল পাঞ্জাব। দলের এত বড় সংগ্রহে ৬৯ বল খেলে একাই ১৩২ রান করেন রাহুল, যাতে ছক্কার মার ছিল ৭টি এবং বাউন্ডারি ১৪টি। আইপিএল ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি।

ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এতদিন সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ২ হাজার রানের রেকর্ড ছিল শচীনের দখলে। ৬৩ ম্যাচ খেলে এই রেকর্ড গড়েছিলেন ‘লিটল মাস্টার’। তবে এই রেকর্ডের মালিক এখন রাহুল। ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে এই রেকর্ড ভাঙেন তিনি। এই রেকর্ড গড়তে তার লাগলো ৬০ ম্যাচ।

রাহুলের মোহাম্মদ শামি ও শেলডন কট্রেলের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে রীতিমত অসহায় হয়ে পড়েন ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলটির অধিনায়ক অধিনায়ক কোহলির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান।

ফিঞ্চ (২০) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (২৮) কিছুটা চেষ্টা করেছিল বটে, কিন্তু পাওয়ার প্লে–র শেষ ওভারে বিষ্ণোই ফিঞ্চকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন। মুরগান অশ্বিনের বলে ২৮ রান করে ডি ভিলিয়ার্স ফিরতেই ব্যাঙ্গালুরুর সব আশা শেষ হয়ে যায়।

ওয়াশিংটন সুন্দর (৩০), শিবম দুবেরা (১২) শেষ চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি। ফলে ১৭ ওভারেই মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় ব্যাঙ্গালুরুর ইনিংস। অর্থাৎ রাহুলের একার রানই করতে পারেননি কোহলিরা।

বল হাতে শামি ১ উইকেট নিলেও ৩ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ১৪ রান। ২ উইকেট নেওয়া কট্রেল ১ ওভারে দিয়েছেন ১৭ রান। তবে সমান ৩টি করে উইকেট নিয়ে আসল কাজটি করে দিয়েছেন বিষ্ণোই এবং অশ্বিন। ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।