আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যেই ফ্লোরিডা ও টেক্সাসে নতুন করে রেকর্ড সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্য দুটির ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। এমনকি নতুন করে জারি করা হয়েছে নানা ধরনের বিধিনিষেধ।
এর আগে সম্প্রতি এ দুই রাজ্যে লকডাউন তুলে নিয়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। যদিও নতুন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
ফ্লোরিডার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে নতুন করে সাড়ে ৯ হাজার ৫৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। টেক্সাসেও এদিন শনাক্তের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্তিস নতুন বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। স্থানীয় বারগুলোতে অ্যালকোহল পান নিষিদ্ধের দিয়েছেন তিনি।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট-ও সব বার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। রেস্টুরেন্টগুলো অবশ্য খোলার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে ধারণক্ষমতার অর্ধেক ক্রেতাকে সেবা দেওয়া যাবে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ২৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭০ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ১৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা, আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা এ পরিসংখ্যানের চেয়েও ১০ গুণ বেশি। আর দুই কোটি মার্কিন নাগরিকের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে দেশটির সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ জানিয়েছে, ফ্লোরিডায় এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা এক লাখ ৩২ হাজার। সেখানে এ ভাইরাসে ৩ হাজার তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত সপ্তাহেই প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে ‘সবচেয়ে বাজে দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এর শেষ কোথায় জানা নেই। আমরা এখনো এর সূচনা পর্বেই আছি।