ফিচার ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস যেন শাপে বর হয়েছে তিমির জন্য। করোনা সঙ্কটের জেরে জাপানে তিমি মাছের মাংস রেকর্ড হারে কমে গেছে। এমনকি, তিমি মাছের মাংসের প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এর ফলে বেঁচে যাচ্ছে কয়েক হাজার তিমি মাছের প্রাণ।আইসল্যান্ডের দু’টি সংস্থার মধ্যে একটি তিমি মাছের শিকার পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে উপকূল থেকে অনেকটা দূরে গিয়ে তিমি শিকার করতে হয়৷ আইসল্যান্ড তিমি শিকারে বিধিনিষেধ চালু করার পর জাপান নিজস্ব তিমি শিকারিদের ভর্তুকি দিতে শুরু করেছে।
বেশ কয়েক বছর আইসল্যান্ডে তিমি শিকার বন্ধ ছিল। কিন্তু ২০০৩ সাল থেকে ফের ‘বৈজ্ঞানিক স্বার্থ’ দেখিয়ে তিমি শিকার শুরু করে আইসল্যান্ড।
মূলত ‘মিনকি’ এবং লুপ্তপ্রায় ‘ফিন’ প্রজাতির তিমি মাছ শিকার করা হয় আইসল্যান্ডের উপকূলে। আইসল্যান্ড, নরওয়ে এবং ২০১৮ সাল থেকে জাপানে বাণিজ্যিক স্বার্থে তিমি শিকার হয়।
বাণিজ্যিক স্বার্থে শিকারের ফলে তিমির সংখ্যা রেকর্ড হারে কমে যেতে শুরু করে। অনেক প্রজাতি লুপ্তপ্রায়। পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও এই স্তন্যপায়ী প্রাণী অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে। তার উপর শিকার। তবে করোনার জন্য আপাতত তিমি মাছের শিকার কমেছে একদমই।