আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জন উনের হার্টে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন বলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সিএনএন সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
কিম জং উন অসুস্থ বলে সংবাদমাধ্যমে যেসব খবর এসেছে তা সত্য নয় বলে দাবি করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। অসত্য খবর প্রকাশ করায় সিএনএন’র কড়া সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত এসব খবরে দাবি করা হয়, অস্ত্রোপচারের পর থেকে অবস্থা ভালো নয় কিমের, মৃত্যু ভয়ে আছেন তিনি। এ নিয়ে অবশ্য উত্তর কোরিয়ার কোনো মন্তব্যও পাওয়া যায়নি।
এসব সংবাদ অসত্য দাবি করে নিজের সমালোচনাকারী সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র একহাত নিলেন ট্রাম্প। করোনাভাইরাস নিয়ে সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তাতে ওঠে আসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের অসুস্থতার খবর প্রসঙ্গেও।
এ ব্যাপারে ট্রাম্প বলেন “আমি মনে করি, খবরটি অসত্য ছিল। খারাপ শোনালেও আমি এটাই বলছি। শুনেছি, তারা (সিএনএন) পুরোনো ডকুমেন্ট ব্যবহার করেছে।”
কিমের ব্যাপারে উত্তর কোরিয়া থেকে সরাসরি কোনো খবর আছে কি-না এ নিয়ে অবশ্য কিছু বলেননি ট্রাম্প। বরং সরাসরি আক্রমণ করে বসেন সিএনএনকে- “আমি মনে করি, এটা সিএনএন’র করা ভুয়া খবর।”
কিমের অসুস্থতার খবর জানিয়ে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, ওয়াশিংটন এ ব্যাপারে গভীর নজর রাখছে। অস্ত্রোপচারের পর থেকে ‘মৃত্যু ভয়ে’ আছেন কিম।
অবশ্য, ৩৬ বছর বয়সী কিমের অসুস্থতার খবরটি প্রথম প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া ত্যাগীদের পরিচালিত দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল ডেইলি এনকে। তাদের খবরে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুতে কিমের হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছে। উত্তর পিয়ংইয়ং প্রদেশে একটি বাড়িতে চিকিৎসা চলছে তার।
উত্তর কোরিয়ার ভেতরকার অজ্ঞাত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এনকে জানিয়েছিল, মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান, স্থূলতা, বিষণ্নতার কারণে হার্টের জটিলতায় ভুগছিলেন কিম। অস্ত্রোপচার জরুরি ছিল তার।