মানবদেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব প্রথমবার আবিষ্কার করেছিলেন। জুন আলমেইডা নামে এক নারী গবেষক। স্কটল্যান্ডের একজন বাসচালকের মেয়ে ভাইরাস ইমেজিংয়ের একজন অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন, যার কাজ এখন আবার এই ভাইরাস মহামারীর সময় আলোচনায় এসেছে।
কোভিড-১৯ একটি নতুন ধরনের ভাইরাস, তবে এটি করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতি। ১৯৬৪ সালে লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের গবেষণাগারে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত করেছিলেন ডা. আলমেইডা।
১৯৩০ সালের জুন মাসে হার্টে জন্মগ্রহণ করেন এই ভাইরোলজিস্ট এবং গ্লাসগোর আলেজান্দ্রা পার্কের কাছাকাছি টেনেমেন্ট এলাকায় বড় হন।
আনুষ্ঠানিক বিদ্যার ক্ষেত্রে তিনি সামান্য পড়াশোনা করেই স্কুল ছাড়েন। তবে গ্লাসগো রয়্যাল ইনফার্মারিতে হিস্টোপ্যাথলজিতে গবেষণাগার কর্মী হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন।
পরে তিনি পেশাগত জীবনের উন্নতি করার জন্য লন্ডনে পাড়ি জমান। ১৯৫৪ সালে তিনি এনরিক আলমেইডাকে বিয়ে করেন, যিনি ছিলেন একজন ভেনিজুয়েলান শিল্পী।
চিকিৎসাবিষয়ক লেখক জর্জ উইন্টারের তথ্যানুযায়ী, এই দম্পতি ও তাদের মেয়ে কানাডার টরন্টোতে পাড়ি জমান।
সেখানে অন্টারিও ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে ডা. আলমেইডা একটি ইলেকট্রনিক মাইক্রোস্কোপ নিয়ে তার অসামান্য দক্ষতার বহির্প্রকাশ ঘটান।
তিনি এমন একটি পদ্ধতির সূচনা করেছিলেন, যা অ্যান্টিবডি সংহত করার মাধ্যমে ভাইরাসগুলোকে আরও পরিষ্কারভাবে দেখা সম্ভব হয়।
তার এই প্রতিভার বিষয়টি যুক্তরাজ্যের মনোযোগ কাড়ে। ১৯৬৪ সালে তাকে লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে কাজ করার জন্য প্রলুব্ধ করে যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়।
ফিরে আসার পর তিনি ডক্টর ডেভিড টাইরেলের সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন, যিনি উল্টশায়ারের সালসবিউরিতে সাধারণ ঠাণ্ডা নিয়ে গবেষণা করছিলেন।
খবর বিবিসির।