ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

৯ মাস পর খুললো সেন্টমার্টিন, তবে শর্তের বেড়াজাল

দীর্ঘ নয় মাস বন্ধ থাকার পর প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে আজ ১ নভেম্বর। তবে আজ কোনো পর্যটক যাচ্ছেন না এই দ্বীপে। কোনো জাহাজ মালিক অনুমতি না নেওয়ায় আজও পর্যটকশূন্যই থাকছে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সেন্টমার্টিন।

সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে পর্যটকদের কেবল দিনে গিয়ে দিনে ফেরার শর্তে দ্বীপ ভ্রমণের সুযোগ থাকবে। গত বছরের মতো এবারও দ্বীপটি ভ্রমণে পর্যটকদের মানতে হবে সরকারের ১২টি নির্দেশনা। আর এতেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া দ্বীপে উঠতে ব্যবহৃত একমাত্র জেটিঘাটের সংস্কারকাজ শেষ না হওয়ায় পর্যটকবাহী জাহাজ ঘাটে ভিড়তে পারার কোনো সুযোগ নেই।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, প্রাথমিকভাবে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ ও ‘বার-আউলিয়া’ নামের দুটি জাহাজ সেন্টমার্টিনে চলার কথা ছিল। তবে জাহাজ মালিকরা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় শনিবার কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছাড়বে না।

বাহাদুরের মতে, যদি কোনো জাহাজ সকাল ৭টায় কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ জেটি থেকে ছাড়ে, সেটি দ্বীপে পৌঁছায় প্রায় দুপুর ২টার দিকে। আমাদের জাহাজগুলোর প্রায় সাত ঘণ্টা লাগে, কিন্তু অন্যদের লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা। একইদিনে যাওয়া-আসা প্রায় অসম্ভব। আর এটি বাস্তবসম্মতও নয়। এর ওপর আবার পর্যটকদের জন্য ট্যুরিজম বোর্ডের সফটওয়্যার এখনও খোলেনি। দিনে গিয়ে দিনে ফেরার সিদ্ধান্তে পর্যটকও পাওয়া যাবে না। এজন্য ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কোনো জাহাজ যাত্রা করবে না। তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে জাহাজ চালানোর প্রস্তুতি চলছে।

সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির আহ্বায়ক আবদুর রহমান বলেন, দ্বীপে পর্যটন সেবায় ছোট-বড় আড়াই শতাধিক হোটেল-রেস্টহাউজ রয়েছে। গত বছর দেখেছি, কক্সবাজার থেকে ৮ ঘণ্টা যাত্রা করে দ্বীপের আবাসনে রেস্ট নিতে কোনো পর্যটক আসে না। তাই এবার আমাদের কোনো প্রস্তুতি নেই। হয়তো পরের দুই মাসে আমরা হোটেল-মোটেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ করতে পারি। তখন স্বল্প পর্যটক হলেও রাত্রী যাপন করবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সেন্টমার্টিন যাতায়াতে কোনো জাহাজ অনুমতি নেয়নি। সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২ নির্দেশনা অতীতের মতো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে টেকনাফের পরিবর্তে কক্সবাজার শহর থেকেই পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস

পত্নীতলায় শ্রমিক দল নেতা ইমরানের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

৯ মাস পর খুললো সেন্টমার্টিন, তবে শর্তের বেড়াজাল

আপডেট সময় ১১:৪৫:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ নয় মাস বন্ধ থাকার পর প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে আজ ১ নভেম্বর। তবে আজ কোনো পর্যটক যাচ্ছেন না এই দ্বীপে। কোনো জাহাজ মালিক অনুমতি না নেওয়ায় আজও পর্যটকশূন্যই থাকছে দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সেন্টমার্টিন।

সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে পর্যটকদের কেবল দিনে গিয়ে দিনে ফেরার শর্তে দ্বীপ ভ্রমণের সুযোগ থাকবে। গত বছরের মতো এবারও দ্বীপটি ভ্রমণে পর্যটকদের মানতে হবে সরকারের ১২টি নির্দেশনা। আর এতেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া দ্বীপে উঠতে ব্যবহৃত একমাত্র জেটিঘাটের সংস্কারকাজ শেষ না হওয়ায় পর্যটকবাহী জাহাজ ঘাটে ভিড়তে পারার কোনো সুযোগ নেই।

সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, প্রাথমিকভাবে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে ‘কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ ও ‘বার-আউলিয়া’ নামের দুটি জাহাজ সেন্টমার্টিনে চলার কথা ছিল। তবে জাহাজ মালিকরা এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় শনিবার কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছাড়বে না।

বাহাদুরের মতে, যদি কোনো জাহাজ সকাল ৭টায় কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ জেটি থেকে ছাড়ে, সেটি দ্বীপে পৌঁছায় প্রায় দুপুর ২টার দিকে। আমাদের জাহাজগুলোর প্রায় সাত ঘণ্টা লাগে, কিন্তু অন্যদের লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা। একইদিনে যাওয়া-আসা প্রায় অসম্ভব। আর এটি বাস্তবসম্মতও নয়। এর ওপর আবার পর্যটকদের জন্য ট্যুরিজম বোর্ডের সফটওয়্যার এখনও খোলেনি। দিনে গিয়ে দিনে ফেরার সিদ্ধান্তে পর্যটকও পাওয়া যাবে না। এজন্য ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে কোনো জাহাজ যাত্রা করবে না। তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে জাহাজ চালানোর প্রস্তুতি চলছে।

সেন্টমার্টিন হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির আহ্বায়ক আবদুর রহমান বলেন, দ্বীপে পর্যটন সেবায় ছোট-বড় আড়াই শতাধিক হোটেল-রেস্টহাউজ রয়েছে। গত বছর দেখেছি, কক্সবাজার থেকে ৮ ঘণ্টা যাত্রা করে দ্বীপের আবাসনে রেস্ট নিতে কোনো পর্যটক আসে না। তাই এবার আমাদের কোনো প্রস্তুতি নেই। হয়তো পরের দুই মাসে আমরা হোটেল-মোটেল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ করতে পারি। তখন স্বল্প পর্যটক হলেও রাত্রী যাপন করবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সেন্টমার্টিন যাতায়াতে কোনো জাহাজ অনুমতি নেয়নি। সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২ নির্দেশনা অতীতের মতো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে টেকনাফের পরিবর্তে কক্সবাজার শহর থেকেই পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিনে যাতায়াতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471