বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা সম্প্রতি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের একটি টক শোতে বলেছেন, “যারা ছবি নিয়ে রাজনীতি করেন তারা বস্তি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান বা দাওয়াতে গেলে অনেকের সঙ্গে ছবি তোলা হয়, এটি শুধু সৌজন্য। তা নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই।”
সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে রুমিন ফারহানা স্প্যানিশ অ্যাম্বাসাডরের সঙ্গে সোহানা সাবা ও মেহের আফরোজ শাওনকে দেখেছেন। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় রুমিনকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে ট্যাগ করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেই ছবিটির কথা বলছেন, এর আগেও ফ্রেঞ্চ অ্যাম্বাসাডরের বাসায় একই ধরনের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। এটাই স্পেনের অ্যাম্বাসাডরের বাসার ছবি। আমি এখনও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক। সুতরাং আমি অ্যাম্বাসাডরের দাওয়াতে যাব। যখন তারা ছবি তুলতে বলেন, আমি কি বলব না, ‘আমি বিএনপি করি, ছবি তুলব না’? এটা বস্তিতে হয়। একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের সামনে আমাদের চেহারাটা দেখানো জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “আপনার চেহারার ক্ষতগুলো বাইরে গেলে যথাসম্ভব ঢেকে রাখা উচিত। যখন একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত বলবেন, আসুন ছবি তুলি বা নৈশভোজে সবাই দাঁড়াবে ছবি তুলতে, তখন কি আমি বলে দেব না, ‘আমি বিএনপি করি, ছবি তুলব না’? এটা করা যায় না।”
এছাড়া, ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের বিষয়ে ধোঁয়াশা প্রসঙ্গে রুমিন মন্তব্য করেন, “আল্লাহর কসম, গেটলক বলা এক সময় মুড়ির টিনের মতো ঢাকায় চলত। হ্যাঁ, ইন্টারসিটি বাস। এই সরকারকেও বারবার বলা হচ্ছে, ‘হবে হবে হবে’। কমিশনের সঙ্গে প্রেস কনফারেন্সে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য দিয়েছেন, যেখানে সম্ভবত বলা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। সরকারকে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হবে। পরে জনগণ যাকে ভালো মনে করবে, তাকে নির্বাচিত করবে। যদি সরকার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে, পাঁচ বছর পর আবার ভোটে নির্বাচিত হবে। অন্যথায় ভোটের মাধ্যমে বিদায় হবে।”
রুমিন ফারহানার এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, তিনি ছবি তোলাকে কূটনৈতিক সৌজন্য হিসেবে দেখেন এবং তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করা উচিত নয়। একই সঙ্গে তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও জনগণকে সচেতন করেছেন।