ঢাকা ১১:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুকুলের মিষ্টি সুবাস নওগাঁর বরেন্দ্র’র বাগানে

নওগাঁর বরেন্দ্র’র প্রকৃতিতে মিষ্টি সুবাস ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। সবুজ- সোনালী রঙের অপরূপ সাজ, নজর কাড়ছে  আম বাগানগুলোতে। তীব্র শীতের কারণে এবার অন্তত ২৫ দিন পর বাগানে এসেছে মুকুল। তবে শেষ সময়ে অনুকূল আবহাওয়ায় আমের ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন বাগান মালিকরা ।

বিস্তৃত বাগান জুড়ে আমের মুকুল। মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া মুকুলের এ সমারোহ নওগাঁর সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলার আম বাগানে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই বাগানে আমের মুকুল আসে। কিন্তু এবার তীব্র শীতের কারণে অন্তত ২৫ দিন পর গাছে দেখা দেয় মুকুল ।

দেরিতে মুকুল এলেও শেষ সময়ে আবহাওয়া দেখে এবার আমের ভালো ফলনের আশা বাগান মালিকদের। আর কাঙ্খিত ফলন ঘরে তোলার জন্য এখন থেকেই গাছের  মুকুলের নিবিড় পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগান মালিকরা । নওগাঁপত্নীতলার দিবর এলাকার বাগান মালিক  মো: ফায়সাল শেখ  বলেন, গেলোবারের চেয়ে এবার বাড়তি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে । বাগানে মুকুল ভালো দেখা যাচ্ছে । সামনে আরো কিছু মুকুল ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে । সাপাহার বরেন্দ্র এগ্রো পার্কের পরিচালক সোহেল রানা বলেন, আমরা এবার খুব আশাবাদি ভালো ফলনের জন্য ।

নওগাঁর সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলায় সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় আম্রপালি জাতের আম। ৪ থেকে ৫ বছর আগে গড়ে তোলা এসব বাগানের ছোট ছোট গাছে বিপুল আমের যোগান দেয় জৈষ্ঠের শুরু থেকেই। আবহাওয়ার ধরন প্রকৃতি দেখে এবারো বরেন্দ্র এলাকায় আমের ভালো ফলণের আশা কৃষি বিভাগের । নওগাঁর সাপাহার উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা

মো: মনিরুজ্জামান বলেন. এবার লেট আওয়ারে মুকুল এলেও এখন পর্যন্ত যে আবাহাওয়া তাতে ভালো ফলন আশা করা হচ্ছে ।

গেলো বছর নওগাঁয় থেকে ১ হাজার মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হয় । যার মধ্যে বেশির ভাগ ছিল আম্রপালি, বারি-ফোর, হিমসাগর ও কাটিমন।

লেংড়া খিরসাপাত, গোপাল ভোগ, কাটিমন বারি-ফোর,  আম্রপালি, এমন অন্তত ২২ প্রজাতির আমের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে নওগাঁর এই বরেন্দ্র এলাকায় । এবার ৩২ হাজার হেক্টর জমির বাগান থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ ।  

 

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

মুকুলের মিষ্টি সুবাস নওগাঁর বরেন্দ্র’র বাগানে

আপডেট সময় ১২:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নওগাঁর বরেন্দ্র’র প্রকৃতিতে মিষ্টি সুবাস ছড়াচ্ছে আমের মুকুল। সবুজ- সোনালী রঙের অপরূপ সাজ, নজর কাড়ছে  আম বাগানগুলোতে। তীব্র শীতের কারণে এবার অন্তত ২৫ দিন পর বাগানে এসেছে মুকুল। তবে শেষ সময়ে অনুকূল আবহাওয়ায় আমের ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন বাগান মালিকরা ।

বিস্তৃত বাগান জুড়ে আমের মুকুল। মৃদু বাতাসে দোল খাওয়া মুকুলের এ সমারোহ নওগাঁর সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলার আম বাগানে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই বাগানে আমের মুকুল আসে। কিন্তু এবার তীব্র শীতের কারণে অন্তত ২৫ দিন পর গাছে দেখা দেয় মুকুল ।

দেরিতে মুকুল এলেও শেষ সময়ে আবহাওয়া দেখে এবার আমের ভালো ফলনের আশা বাগান মালিকদের। আর কাঙ্খিত ফলন ঘরে তোলার জন্য এখন থেকেই গাছের  মুকুলের নিবিড় পরিচর্যায় ব্যস্ত বাগান মালিকরা । নওগাঁপত্নীতলার দিবর এলাকার বাগান মালিক  মো: ফায়সাল শেখ  বলেন, গেলোবারের চেয়ে এবার বাড়তি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে । বাগানে মুকুল ভালো দেখা যাচ্ছে । সামনে আরো কিছু মুকুল ফোটার অপেক্ষায় রয়েছে । সাপাহার বরেন্দ্র এগ্রো পার্কের পরিচালক সোহেল রানা বলেন, আমরা এবার খুব আশাবাদি ভালো ফলনের জন্য ।

নওগাঁর সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলায় সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় আম্রপালি জাতের আম। ৪ থেকে ৫ বছর আগে গড়ে তোলা এসব বাগানের ছোট ছোট গাছে বিপুল আমের যোগান দেয় জৈষ্ঠের শুরু থেকেই। আবহাওয়ার ধরন প্রকৃতি দেখে এবারো বরেন্দ্র এলাকায় আমের ভালো ফলণের আশা কৃষি বিভাগের । নওগাঁর সাপাহার উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা

মো: মনিরুজ্জামান বলেন. এবার লেট আওয়ারে মুকুল এলেও এখন পর্যন্ত যে আবাহাওয়া তাতে ভালো ফলন আশা করা হচ্ছে ।

গেলো বছর নওগাঁয় থেকে ১ হাজার মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হয় । যার মধ্যে বেশির ভাগ ছিল আম্রপালি, বারি-ফোর, হিমসাগর ও কাটিমন।

লেংড়া খিরসাপাত, গোপাল ভোগ, কাটিমন বারি-ফোর,  আম্রপালি, এমন অন্তত ২২ প্রজাতির আমের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে নওগাঁর এই বরেন্দ্র এলাকায় । এবার ৩২ হাজার হেক্টর জমির বাগান থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ ।  

 


Notice: ob_end_flush(): Failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471