ঢাকা ০২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের ইতি চায় সৌদি-কাতার

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে কাতার এবং সৌদি আরব। কাতারি-সৌদি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের এক যৌথ বিবৃতিতে কাতারের আমির এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গাজা উপত্যকার মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার গুরুত্বের বিষয়ে জোর দিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

উভয় পক্ষ ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বন্ধে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এবং আরব শান্তি উদ্যোগের নীতি অনুসারে ফিলিস্তিন সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন এই দুই শীর্ষ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ১২০০ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করা হয়। সম্প্রতি এসব জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল এবং হামাস। ৭ দিনের যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে হামাস ১১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। একটি ভিডিও ফুটেজে একটি ধসে পড়া ভবন দেখা গেছে। সেখানে হামলার পর লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গত দুই দিনে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ওই শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালালো ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয় । ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে খান ইউনিস শহরেও ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক হামলায় হতাহতের খবর জানিয়েছে ওয়াফা।

গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের ইতি চায় সৌদি-কাতার

আপডেট সময় ০৪:৩৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে কাতার এবং সৌদি আরব। কাতারি-সৌদি কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের এক যৌথ বিবৃতিতে কাতারের আমির এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান গাজা উপত্যকার মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার গুরুত্বের বিষয়ে জোর দিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

উভয় পক্ষ ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বন্ধে ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান এবং আরব শান্তি উদ্যোগের নীতি অনুসারে ফিলিস্তিন সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন এই দুই শীর্ষ নেতা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ১২০০ জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করা হয়। সম্প্রতি এসব জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল এবং হামাস। ৭ দিনের যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে হামাস ১১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। একটি ভিডিও ফুটেজে একটি ধসে পড়া ভবন দেখা গেছে। সেখানে হামলার পর লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গত দুই দিনে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ওই শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালালো ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয় । ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে খান ইউনিস শহরেও ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক হামলায় হতাহতের খবর জানিয়েছে ওয়াফা।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471