ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ বিলিয়ন ডলারের মতো পরে আছে বিদেশে

  • ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট সময় ১২:১৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৫৭২ Time View

দেশের মধ্যে ডলার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এর অন্যতম কারণ অবৈধপথে ডলার লেনদেন। পাশাপাশি রপ্তানি আয়ের একটা অংশ বিদেশে থেকে না আসা। নানা অজুহাতে রপ্তানি পণ্যের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছেন না ব্যবসায়ীদের একটা অংশ। শুধু গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রপ্তানি করা পণ্যের ৯ বিলিয়ন ডলার বিদেশ থেকে আনেননি তারা। সবমিলে বিদেশে পরে থাকা বকেয়া ডলারের পরিমাণ ১৩ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যবসায়ীদের অনেকেই রপ্তানি মূল্য দেশে আনছেন না। আবার বিদেশি ক্রেতাদের পণ্যমূল্য পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে দেশ থেকে আমদানি মূল্য পরিশোধ বাবদ ডলার যাচ্ছে। কিন্তু রপ্তানির বিপরীতে তুলনামূলক ডলার কম আসছে। নতুন করে ডলার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। আমরা এসব বিষয়টি নজরে এনেছি। এটা সমাধানের চেষ্টা করছি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, গত বছর ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। এর বিপরীতে দেশে এসেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের এখনো ৯ বিলিয়ন ডলার বিদেশের মাটিতে বকেয়া হিসাবে পড়ে আছে।

নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশকিছু নীতিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। আশা করি আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। তখন ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিদেশে পরে থাকা ডলারের পরিমাণ ১৩ বিলিয়ন ডলারের মতো। বিশেষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এসব ডলার ইচ্ছা করে দেশে আনছেন না। এতে এ বিপুল পরিমাণ ডলার বিদেশের পাচার হচ্ছে কি না এমন সন্দেহ দিনদিন গভীর হচ্ছে। অন্যদিকে, বুধবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসাইন বলেন, ‘মূলত দু’টি বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে আজ। এর একটি হলো ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি)। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির কিছু কৌশল আমরা হাতে নিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। দ্বিতীয়টি হলো- ঋণের সুদহার। কারণ আস্তে আস্তে ঋণের সুদহার বৃদ্ধির কারণে অন্যের উপর একটি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

হুন্ডি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অবৈধ পয়সা দিয়ে যারা ডলার ব্যবসা করেন, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আমরা যদি এখন ১৩০ টাকা ডলার রেট অফার করি, তখন তারা ১৪০ টাকা অফার করবে। যেহেতু তাদের কাছে অবৈধ টাকা রয়েছে তাই তারা পাচার করবেই। এখানে ডলারের দাম ১৪০ বা ১৫০ টাকা কোনো গুরুত্ব রাখে না। হঠাৎ হুন্ডির সঙ্গে ডলারের ফরমাল রেট মিলানোর যৌক্তিকতা নেই। কারণ মার্কেটে প্রতি বছরে ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন ডলার লেনদেন হয়। বাংলাদেশের ওভারঅল লেনদেনের তুলনায়, সেটা অতি নগণ্য। তাই দাম নিয়ে ঘাবড়ানোর কারণ নেই।

১৩ বিলিয়ন ডলারের মতো পরে আছে বিদেশে

আপডেট সময় ১২:১৬:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

দেশের মধ্যে ডলার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। এর অন্যতম কারণ অবৈধপথে ডলার লেনদেন। পাশাপাশি রপ্তানি আয়ের একটা অংশ বিদেশে থেকে না আসা। নানা অজুহাতে রপ্তানি পণ্যের অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছেন না ব্যবসায়ীদের একটা অংশ। শুধু গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রপ্তানি করা পণ্যের ৯ বিলিয়ন ডলার বিদেশ থেকে আনেননি তারা। সবমিলে বিদেশে পরে থাকা বকেয়া ডলারের পরিমাণ ১৩ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ব্যবসায়ীদের অনেকেই রপ্তানি মূল্য দেশে আনছেন না। আবার বিদেশি ক্রেতাদের পণ্যমূল্য পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে দেশ থেকে আমদানি মূল্য পরিশোধ বাবদ ডলার যাচ্ছে। কিন্তু রপ্তানির বিপরীতে তুলনামূলক ডলার কম আসছে। নতুন করে ডলার ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। আমরা এসব বিষয়টি নজরে এনেছি। এটা সমাধানের চেষ্টা করছি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, গত বছর ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। এর বিপরীতে দেশে এসেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের এখনো ৯ বিলিয়ন ডলার বিদেশের মাটিতে বকেয়া হিসাবে পড়ে আছে।

নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশকিছু নীতিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। আশা করি আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। তখন ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিদেশে পরে থাকা ডলারের পরিমাণ ১৩ বিলিয়ন ডলারের মতো। বিশেষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এসব ডলার ইচ্ছা করে দেশে আনছেন না। এতে এ বিপুল পরিমাণ ডলার বিদেশের পাচার হচ্ছে কি না এমন সন্দেহ দিনদিন গভীর হচ্ছে। অন্যদিকে, বুধবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসাইন বলেন, ‘মূলত দু’টি বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে আজ। এর একটি হলো ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি)। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির কিছু কৌশল আমরা হাতে নিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। দ্বিতীয়টি হলো- ঋণের সুদহার। কারণ আস্তে আস্তে ঋণের সুদহার বৃদ্ধির কারণে অন্যের উপর একটি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

হুন্ডি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অবৈধ পয়সা দিয়ে যারা ডলার ব্যবসা করেন, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আমরা যদি এখন ১৩০ টাকা ডলার রেট অফার করি, তখন তারা ১৪০ টাকা অফার করবে। যেহেতু তাদের কাছে অবৈধ টাকা রয়েছে তাই তারা পাচার করবেই। এখানে ডলারের দাম ১৪০ বা ১৫০ টাকা কোনো গুরুত্ব রাখে না। হঠাৎ হুন্ডির সঙ্গে ডলারের ফরমাল রেট মিলানোর যৌক্তিকতা নেই। কারণ মার্কেটে প্রতি বছরে ৩০ থেকে ৪০ মিলিয়ন ডলার লেনদেন হয়। বাংলাদেশের ওভারঅল লেনদেনের তুলনায়, সেটা অতি নগণ্য। তাই দাম নিয়ে ঘাবড়ানোর কারণ নেই।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471