ঢাকা ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হঠাৎ বন্যায় ভোগান্তিতে তিস্তাপাড়ের মানুষ

ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানির ঢল এবং টানা বৃষ্টিতে তিস্তায় দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে তিস্তার দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ পানি প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে ও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়।

এদিকে হঠাৎ পনবন্যায় তিস্তার চরাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে বিপাকে পড়েছেন বানভাসী মানুষ।গরু-ছাগল নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, কেউবা উঁচু রাস্তায়। উৎকণ্ঠায় রাত পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে বন্যা পরবর্তী ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছেন তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ।লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন এলাকার ফজর আলী বলেন, চরে ৫ দোন জমিতে রোপা আমন ধান করেছি, ধান কাটার সময়ও চলে আসছে। হঠাৎ পানি আসায় সব ডুবে আছে। কতটুকু ধান থাকবে বলা মুশকিল।

একই এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, চরে কয়েকদিন আগে ধান কেটে রেখেছি। হালকা বৃষ্টি হওয়ায় বাড়িতে নিয়ে আসিনি। পানি আসার খবরে কোনো রকমে ভেজা ধান নিয়ে আসছি। বৃষ্টি পড়ছে। তাই ধান মাড়াই করতেও পারছি না।আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, বন্যার পানিতে চরের সবজিক্ষেত, আলু, রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে আছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের লোকজন কাজ করছে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার বলেন, বন্যা দুর্গত মানুষদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা হবে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তার দোয়ানি পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করায় আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর বন্যার আশঙ্কামুক্ত। আমরা সার্বিক খোঁজখবর রাখছি।

নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড

তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হঠাৎ বন্যায় ভোগান্তিতে তিস্তাপাড়ের মানুষ

আপডেট সময় ০৪:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানির ঢল এবং টানা বৃষ্টিতে তিস্তায় দেখা দিয়েছে বন্যা। এতে তিস্তার দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চলসহ চরাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ পানি প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে রেকর্ড করা হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে ও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়।

এদিকে হঠাৎ পনবন্যায় তিস্তার চরাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে বিপাকে পড়েছেন বানভাসী মানুষ।গরু-ছাগল নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, কেউবা উঁচু রাস্তায়। উৎকণ্ঠায় রাত পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় এখন কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে বন্যা পরবর্তী ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছেন তিস্তা পাড়ের হাজারো মানুষ।লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন এলাকার ফজর আলী বলেন, চরে ৫ দোন জমিতে রোপা আমন ধান করেছি, ধান কাটার সময়ও চলে আসছে। হঠাৎ পানি আসায় সব ডুবে আছে। কতটুকু ধান থাকবে বলা মুশকিল।

একই এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, চরে কয়েকদিন আগে ধান কেটে রেখেছি। হালকা বৃষ্টি হওয়ায় বাড়িতে নিয়ে আসিনি। পানি আসার খবরে কোনো রকমে ভেজা ধান নিয়ে আসছি। বৃষ্টি পড়ছে। তাই ধান মাড়াই করতেও পারছি না।আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, বন্যার পানিতে চরের সবজিক্ষেত, আলু, রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে আছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের লোকজন কাজ করছে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি আর সারোয়ার বলেন, বন্যা দুর্গত মানুষদের খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা হবে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তার দোয়ানি পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করায় আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর বন্যার আশঙ্কামুক্ত। আমরা সার্বিক খোঁজখবর রাখছি।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471