ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে কিশোরীর মৃত্যু

রংপুর  প্রতিনিধি :  প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিয়ের দিন ভোরে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত সেই তারমিনা আক্তার ওরফে ফুলতি (১৪) মারা গেছেন।

রোববার (১ আগস্ট) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানো গ্রাম এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

তারমিনা বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে ওই এলাকার তোয়াব আলী ও পারভিন আক্তার দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।

পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, তারমিনা আক্তারের বড় বোন তাহমিনার বিয়ে হয় মিঠাপুকুর উপজেলার পশ্চিম বড়বালা এলাকায়।

আত্মীয়তার সম্পর্কে ওই এলাকার মোনায়েম হোসেনের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন প্রেমের প্রস্তাব দেয় তারমিনাকে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে শাখাওয়াত হোসেন তারমিনাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।

এর মধ্যে বুধবার তারমিনা আক্তারের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে স্বজনরা। বিষয়টি জানতে পেয়ে শাখাওয়াত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারমিনার ওপর।

এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলযোগে ভোরের দিকে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে তারমিনার বাড়িতে গিয়ে সবার অজান্তে ছুরিকাঘাতে আহত করেন শাখাওয়াত। এসময় তারমিনা চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করেন।

পরে তারমিনাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হামিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যায়।

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ট্যাগস

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে কিশোরীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৫:০২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

রংপুর  প্রতিনিধি :  প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিয়ের দিন ভোরে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত সেই তারমিনা আক্তার ওরফে ফুলতি (১৪) মারা গেছেন।

রোববার (১ আগস্ট) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত বুধবার (২৮ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাজানো গ্রাম এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

তারমিনা বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। সে ওই এলাকার তোয়াব আলী ও পারভিন আক্তার দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।

পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, তারমিনা আক্তারের বড় বোন তাহমিনার বিয়ে হয় মিঠাপুকুর উপজেলার পশ্চিম বড়বালা এলাকায়।

আত্মীয়তার সম্পর্কে ওই এলাকার মোনায়েম হোসেনের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন প্রেমের প্রস্তাব দেয় তারমিনাকে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে শাখাওয়াত হোসেন তারমিনাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন।

এর মধ্যে বুধবার তারমিনা আক্তারের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করে স্বজনরা। বিষয়টি জানতে পেয়ে শাখাওয়াত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারমিনার ওপর।

এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলযোগে ভোরের দিকে নিজ বাড়ি থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে তারমিনার বাড়িতে গিয়ে সবার অজান্তে ছুরিকাঘাতে আহত করেন শাখাওয়াত। এসময় তারমিনা চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করেন।

পরে তারমিনাকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হামিদুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যায়।

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471