আজ ২৭ নভেম্বর শহীদ মুনীর চৌধুরীর জন্মদিন। এই নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও শিক্ষাবিদ মুনীর চৌধুরীর জন্মদিন উপলক্ষে আজ সার্চ জায়ান্টে ডুডলের মাধ্যমে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে গুগল।
তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে সার্চ জায়ান্টে বিশেষ ডুডল প্রকাশ করা হয়েছে। গুগলের হোম পেজে গেলে বিশেষ এ ডুডল চোখে পড়বে।
ডুডলটিতে গুগলের লোগোর মাঝখানে শহীদ মুনীর চৌধুরীকে খোলা বই হাতে তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর গায়ে শাল জড়ানো। চোখে মোটা কালো ফ্রেমের চশমা। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে গুগলের লোগোও বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। ডুডলের ওপরে ক্লিক করলে শহীদ মুনীর চৌধুরীর ছবিসহ তাঁর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে ডুডল কি?
বিশেষ কোনো দিন বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির জন্য সার্চ বক্সের ওপরে নিজেদের লোগো বদলে বিশেষ দিনটির সঙ্গে মানানসই নকশার যে লোগো তৈরি করে গুগল, তা-ই ডুডল।
গুগলের আজকের ডুডলটি শুধু বাংলাদেশ থেকেই দেখা যাচ্ছে।
সাহিত্য সমালোচক ও শিক্ষাবিদ মুনীর চৌধুরী ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার গোপাইরবাগ গ্রামে। ইংরেজ আমলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরীর ১৪ সন্তানের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
কর্মজীবনে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলেও ১৯৫৫ সালে যোগ দেন বাংলা বিভাগে।
১৯৬২ সালে মুনীর চৌধুরী বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো ‘কবর’, ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’, ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ ‘চিঠি’, ‘কেউ কিছু বলতে পারে না’, ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ প্রভৃতি । ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর তাঁর বাবার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের সহযোগী আলবদর বাহিনী এবং সম্ভবত ওই দিনই হত্যা করা হয় তাঁকে।