ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরির জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দিতে ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার: বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ চালু, সংস্কার ও নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরির জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দিতে ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।  

রোববার (০৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলচ্চিত্র নির্মাতা, গবেষক ও প্রশিক্ষকদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি তথ্য জানান।

সেসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি আগামী কয়েক বছর পর সিনেমা শিল্পে একটা বিরাট পরিবর্তন আসবে। প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা, বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রেক্ষাগৃহগুলো চালুর ব্যবস্থা করাসহ আরও অনেকগুলো নতুন প্রেক্ষাগৃহ গড়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বাংলাদেশে জাতীয় চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শিল্পের উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ চালু, সংস্কার ও নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করার জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে ১০০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

হাছান মাহমুদ বলেন, চলচ্চিত্র পৃথিবীর অনেক পুরনো একটি মাধ্যম। যে মাধ্যম জীবনের কথা, সমসাময়িক কালের কথা বলে।

মানুষকে আনন্দ দেয়, সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরে, মানুষের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক কিছু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে উঠে আসে।

চলচ্চিত্র সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। চলচ্চিত্রই সর্বোত্তম মাধ্যম যা মানুষকে হাসি, কান্না, বেদনা ও আনন্দ দেওয়ার মাধ্যমে সমাজকে পরিশুদ্ধ করে এবং সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।

২০১৩ সালে বাংলাদেশ সিনেমা ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে সিনেমা ও টেলিভিশনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে।

এখানে এক ও দুই বছরের কোর্স করানো হয়। এছাড়া এখানে কিছু শর্ট কোর্সও করানো হয়। যারা টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন তারা কোর্সগুলো করতে পারেন।

তিনি বলেন, এই ইনস্টিটিউট থেকে যারা বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করে বের হয়ে যাচ্ছে তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন। যারা এখানে কোর্স করে তাদের কিছু শর্টফিল্ম বানানোর জন্য অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়।

এগুলো নির্মাণে সরকার ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেয়। এখানকার অনেকের শর্টফিল্ম জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্যে এই প্রতিষ্ঠানকে একটি আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়া।

কবে থেকে প্রেক্ষাগৃহ খোলা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। করোনায় এখনও প্রতিদিন ৩০-এর কাছাকাছি মৃত্যু হচ্ছে, যদিও আগের স্বাভাবিক অবস্থার মত গণপরিবহন থেকে অফিস-আদালত চালু হয়েছে।

এ বিষয়গুলো আরেকটু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য তো প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ রাখা যাবে না।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং দূরত্ব বজায় রেখে, আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাস করে প্রেক্ষাগৃহ কবে চালু করা যায়, তা আমরা এ সপ্তাহের মধ্যে বা আগামী সপ্তাহের শুরুতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের ডাক বিজেপি নেতার

নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরির জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দিতে ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন

আপডেট সময় ০৪:৪৪:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অক্টোবর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার: বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ চালু, সংস্কার ও নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরির জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দিতে ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।  

রোববার (০৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলচ্চিত্র নির্মাতা, গবেষক ও প্রশিক্ষকদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি তথ্য জানান।

সেসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি আগামী কয়েক বছর পর সিনেমা শিল্পে একটা বিরাট পরিবর্তন আসবে। প্রেক্ষাগৃহ সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা, বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রেক্ষাগৃহগুলো চালুর ব্যবস্থা করাসহ আরও অনেকগুলো নতুন প্রেক্ষাগৃহ গড়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বাংলাদেশে জাতীয় চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৫৭ সালে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শিল্পের উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ প্রেক্ষাগৃহ চালু, সংস্কার ও নতুন প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করার জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থায়নে ১০০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

হাছান মাহমুদ বলেন, চলচ্চিত্র পৃথিবীর অনেক পুরনো একটি মাধ্যম। যে মাধ্যম জীবনের কথা, সমসাময়িক কালের কথা বলে।

মানুষকে আনন্দ দেয়, সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরে, মানুষের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রের অনেক কিছু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে উঠে আসে।

চলচ্চিত্র সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। চলচ্চিত্রই সর্বোত্তম মাধ্যম যা মানুষকে হাসি, কান্না, বেদনা ও আনন্দ দেওয়ার মাধ্যমে সমাজকে পরিশুদ্ধ করে এবং সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।

২০১৩ সালে বাংলাদেশ সিনেমা ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশে সিনেমা ও টেলিভিশনের জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করে।

এখানে এক ও দুই বছরের কোর্স করানো হয়। এছাড়া এখানে কিছু শর্ট কোর্সও করানো হয়। যারা টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন তারা কোর্সগুলো করতে পারেন।

তিনি বলেন, এই ইনস্টিটিউট থেকে যারা বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করে বের হয়ে যাচ্ছে তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন। যারা এখানে কোর্স করে তাদের কিছু শর্টফিল্ম বানানোর জন্য অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়।

এগুলো নির্মাণে সরকার ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেয়। এখানকার অনেকের শর্টফিল্ম জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্যে এই প্রতিষ্ঠানকে একটি আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়া।

কবে থেকে প্রেক্ষাগৃহ খোলা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। করোনায় এখনও প্রতিদিন ৩০-এর কাছাকাছি মৃত্যু হচ্ছে, যদিও আগের স্বাভাবিক অবস্থার মত গণপরিবহন থেকে অফিস-আদালত চালু হয়েছে।

এ বিষয়গুলো আরেকটু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে অনির্দিষ্টকালের জন্য তো প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ রাখা যাবে না।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং দূরত্ব বজায় রেখে, আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাস করে প্রেক্ষাগৃহ কবে চালু করা যায়, তা আমরা এ সপ্তাহের মধ্যে বা আগামী সপ্তাহের শুরুতে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471