ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ১৪, ১৮ ও ২৪’র নির্বাচন মাথা থেকে মুছে ফেলতে হবে

গাইবান্ধায় মিথ্যা চেক জালিয়াতি মামলার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ  গাইবান্ধায় মিথ্যা চেক জালিয়াতি মামলা ও এজাহার বহির্ভূত ভূল গ্রেফতারী পরোয়ানায়  বারবলদিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এনএসআই’র সাবেক সহকারি পরিচালক আব্দুল হাই সরকার ও তার পরিবার।

বুধবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তার ছেলে শহিদুল আকতার সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন এর প্রতিকার ও দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উলেখ করা হয়, গাইবান্ধা জনতা ব্যাংক প্রধান শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার এ্যাডভান্স আবু জাফর মো. ছালেহীন একটি প্রতারক চক্রের মূলহোতা।

সেই চক্রের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বিভিন্ন পেশাজীবি মুখোশধারী মানুষ। যাদের খপ্পরে পড়ে তার বৃদ্ধ পিতা অবসরপ্রাপ্ত-

এনএসআই এর সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল হাই সরকারসহ অনেক পরিবার ওই চক্রের বেড়াজালে নাজেহাল হয়ে পড়েছে।

উলেখ্য, পূর্ব পরিচয় সুত্রে তার পিতা ২০১২ সালের ৫মে আবু জাফর মো. ছালেহীনের শরনাপন্ন হয় এবং লোনের জন্য আবেদন করে।

ওই সময় চাকুরীজীবি লোন ১ লাখ টাকা মঞ্জুর হলেও আবু জাফর ছালেহীন ৪০ হাজার টাকা লোন পাশ হয়েছে বলে জানান (চা. জী লোন নং ৭৩০)।

এ লোনের বিপরীতে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয় (নং ১৮৪৪৪)। সঞ্চয়ী হিসাব সংশিষ্ট দশ পাতা বিশিষ্ট দুটি চেক বই ইস্যু করে।

উক্ত চেক বই দুটির ২০টি ফাঁকা পাতা তার পিতার স্বাক্ষর গ্রহণ করে ব্যাংকের নথিতে সংরক্ষণ করেন আবু জাফর ছালেহীন।

এরপর ২৪টি মাসিক কিস্তি নির্ধারিত থাকলেও তা ৯ কিস্তিতে সুদসহ পরিশোধ করেন। তদুপরি, অব্যহারিত স্বাক্ষরিত চেকের পাতাগুলো ষ্টেটমেন্টসহ চাইলে তা দিতে সময়ক্ষেপন করে।

এরপর ২০১৫ সালে তার পিতা মো. আব্দুল হাই সরকার অবসরে গিয়ে পেনশনের ১১ লাখ টাকা ডিপোজিট করে রাখার জন্য গেলে ছালেহীন তা না করে তার নিজস্ব ক্লিনিক ও ছমিল ব্যবসায় বিনিয়োগ করার প্রলোভন দেয়।

সেইসঙ্গে ওই টাকা গ্রহণ করে চুক্তিনামা দিতে টালবাহানা করে। এছাড়াও আবু জাফর ছালেহীন শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাসাজসে ব্যাংকের চেক ফেরত রেজিস্টারে স্বাক্ষর জাল করে ২টি চেক বইয়ের মধ্যে একটির তথ্য গোপন করে।

অপর চেক বইটির স্বাক্ষরিত চেকের পাতা ছিড়ে নিয়ে ছালেহীন তার স্ত্রী জোহরা বেগমকে দিয়ে তার পিতা আব্দুল হাই সরকারের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকার নিগোশিয়েল ইন্সট্রমেন্ট এ্যাক্টে সিআর ৫৩৯/১৭ মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

পরে বাদী নিজেই স্বীকারোক্তি মতে চেক দেয় ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চেক ডিজঅনার হয় এবং ওই মাসেরই ২১ সেপ্টেম্বর তা কিভাবে সম্ভব।

এছাড়াও ছালেহীন তার পুত্র জনিকে দিয়ে ২০১৮ সালে নিজেই বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

ফলে ওই প্রতারক চক্রের দাবিকৃত অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ না করায় একের পর এক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেআসছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উলেখ করা হয়, চলতি বছরের ১১ ফেব্র“য়ারি ওই চেক ডিজঅনার (নং সিআর ৫৩৯/১৭) মামলায় সদর উপজেলার হলুদিয়া-

সরকারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মুন্সির পুত্র আব্দুল হাই সরকারের নামে একটি ভূল গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে সদর থানা পুলিশ এনএসআই’র সাবেক সহকারি পরিচালককে গ্রেফতারের অপচেষ্টা চালায়।

শুধু তাই নয়, উক্ত মামলার ফটোকপি উত্তোলন পূর্বক দেখা যায় যে, তার পিতা আব্দুল হাই সরকারকে উক্ত মামলার এজাহার মোতাবেক কোন আসামিই করা হয়নি।

ট্যাগস

ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ

গাইবান্ধায় মিথ্যা চেক জালিয়াতি মামলার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৬:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ  গাইবান্ধায় মিথ্যা চেক জালিয়াতি মামলা ও এজাহার বহির্ভূত ভূল গ্রেফতারী পরোয়ানায়  বারবলদিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এনএসআই’র সাবেক সহকারি পরিচালক আব্দুল হাই সরকার ও তার পরিবার।

বুধবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তার ছেলে শহিদুল আকতার সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন এর প্রতিকার ও দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উলেখ করা হয়, গাইবান্ধা জনতা ব্যাংক প্রধান শাখার সাবেক সিনিয়র অফিসার এ্যাডভান্স আবু জাফর মো. ছালেহীন একটি প্রতারক চক্রের মূলহোতা।

সেই চক্রের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বিভিন্ন পেশাজীবি মুখোশধারী মানুষ। যাদের খপ্পরে পড়ে তার বৃদ্ধ পিতা অবসরপ্রাপ্ত-

এনএসআই এর সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল হাই সরকারসহ অনেক পরিবার ওই চক্রের বেড়াজালে নাজেহাল হয়ে পড়েছে।

উলেখ্য, পূর্ব পরিচয় সুত্রে তার পিতা ২০১২ সালের ৫মে আবু জাফর মো. ছালেহীনের শরনাপন্ন হয় এবং লোনের জন্য আবেদন করে।

ওই সময় চাকুরীজীবি লোন ১ লাখ টাকা মঞ্জুর হলেও আবু জাফর ছালেহীন ৪০ হাজার টাকা লোন পাশ হয়েছে বলে জানান (চা. জী লোন নং ৭৩০)।

এ লোনের বিপরীতে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলা হয় (নং ১৮৪৪৪)। সঞ্চয়ী হিসাব সংশিষ্ট দশ পাতা বিশিষ্ট দুটি চেক বই ইস্যু করে।

উক্ত চেক বই দুটির ২০টি ফাঁকা পাতা তার পিতার স্বাক্ষর গ্রহণ করে ব্যাংকের নথিতে সংরক্ষণ করেন আবু জাফর ছালেহীন।

এরপর ২৪টি মাসিক কিস্তি নির্ধারিত থাকলেও তা ৯ কিস্তিতে সুদসহ পরিশোধ করেন। তদুপরি, অব্যহারিত স্বাক্ষরিত চেকের পাতাগুলো ষ্টেটমেন্টসহ চাইলে তা দিতে সময়ক্ষেপন করে।

এরপর ২০১৫ সালে তার পিতা মো. আব্দুল হাই সরকার অবসরে গিয়ে পেনশনের ১১ লাখ টাকা ডিপোজিট করে রাখার জন্য গেলে ছালেহীন তা না করে তার নিজস্ব ক্লিনিক ও ছমিল ব্যবসায় বিনিয়োগ করার প্রলোভন দেয়।

সেইসঙ্গে ওই টাকা গ্রহণ করে চুক্তিনামা দিতে টালবাহানা করে। এছাড়াও আবু জাফর ছালেহীন শাখা ব্যবস্থাপকের সাথে যোগাসাজসে ব্যাংকের চেক ফেরত রেজিস্টারে স্বাক্ষর জাল করে ২টি চেক বইয়ের মধ্যে একটির তথ্য গোপন করে।

অপর চেক বইটির স্বাক্ষরিত চেকের পাতা ছিড়ে নিয়ে ছালেহীন তার স্ত্রী জোহরা বেগমকে দিয়ে তার পিতা আব্দুল হাই সরকারের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকার নিগোশিয়েল ইন্সট্রমেন্ট এ্যাক্টে সিআর ৫৩৯/১৭ মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

পরে বাদী নিজেই স্বীকারোক্তি মতে চেক দেয় ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর চেক ডিজঅনার হয় এবং ওই মাসেরই ২১ সেপ্টেম্বর তা কিভাবে সম্ভব।

এছাড়াও ছালেহীন তার পুত্র জনিকে দিয়ে ২০১৮ সালে নিজেই বাদি হয়ে সদর থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

ফলে ওই প্রতারক চক্রের দাবিকৃত অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ না করায় একের পর এক মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেআসছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উলেখ করা হয়, চলতি বছরের ১১ ফেব্র“য়ারি ওই চেক ডিজঅনার (নং সিআর ৫৩৯/১৭) মামলায় সদর উপজেলার হলুদিয়া-

সরকারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মুন্সির পুত্র আব্দুল হাই সরকারের নামে একটি ভূল গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে সদর থানা পুলিশ এনএসআই’র সাবেক সহকারি পরিচালককে গ্রেফতারের অপচেষ্টা চালায়।

শুধু তাই নয়, উক্ত মামলার ফটোকপি উত্তোলন পূর্বক দেখা যায় যে, তার পিতা আব্দুল হাই সরকারকে উক্ত মামলার এজাহার মোতাবেক কোন আসামিই করা হয়নি।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471