ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড Logo ডিবিসির সাংবাদিক সাজুর উপর হামলাকারী কনক কে ১০ দিনেও আটক করতে পারেনি পুলিশ Logo ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৫৮০ Logo পৃথিবীর কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: প্রেস সচিব Logo নওগাঁ ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে মারধর Logo পদত্যাগ করছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা Logo ৫ বছর পর দেশে এসেছেন শাবানা Logo নুরাল পাগলের কবর ভাঙচুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৫ নেতা গ্রেপ্তার Logo মার্কিন বাণিজ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে মিত্র দেশগুলো, ট্রাম্পের নতুন আদেশ Logo বরগুনায় নিজ বসতঘর থেকে স্ত্রীর গলাকাটা ও স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর পালাক্রমে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ  বাগেরহাটের শরণখোলায় ১০ম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর ১৮ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের অপহৃত ছাত্রীর পিতা জানান, তার মেয়ে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর দাখিল মাদ্রাসায় ১০ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে।

পার্শ্ববর্তী মালিয়া-রাজাপুর গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে রাকিব (২৮) ও মোজাম্মেল ভুঁইয়ার ছেলে মুন্না (২৮) বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো।

এ অবস্থায় গত ২২ মে বেলা ১১টায় তার মেয়ে ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রধান সড়কে যায়। এসময় মোটরসাইকেলসহ বন্ধুদের নিয়ে ওৎ পেতে থাকা রাকিব ও মুন্না তার মেয়েকে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।

সেই থেকে শরণখোলা থানায় মৌখিকভাবে জানিয়ে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন। গত বুধবার (১০ জুন) অপহরণকারীরা তার মেয়েকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার পাঁচ রাস্তা এলাকা থেকে উদ্ধার করে।

উদ্ধার হওয়ার পর ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, অপহরণের পর মুন্নার বাড়ির দোতলায় নিয়ে তাকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে রাকিব। এসময় রাকিবকে সহযোগিতা করতো মুন্নার মা খাদিজা বেগম ও তার ভাই খোকন।

এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, উদ্ধার করে মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।  তার পিতা বাদী হয়ে রাকিব ও মুন্নাসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামী গ্রেফতারে অভিযান চালছে। শনিবার মেয়েটিকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাটে পাঠানো হবে।

 

ট্যাগস

নওগাঁয় নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান, পরিচালককে কারাদণ্ড

মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর পালাক্রমে ধর্ষণ

আপডেট সময় ০৮:১৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ  বাগেরহাটের শরণখোলায় ১০ম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর ১৮ দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের অপহৃত ছাত্রীর পিতা জানান, তার মেয়ে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর দাখিল মাদ্রাসায় ১০ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে।

পার্শ্ববর্তী মালিয়া-রাজাপুর গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছেলে রাকিব (২৮) ও মোজাম্মেল ভুঁইয়ার ছেলে মুন্না (২৮) বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো।

এ অবস্থায় গত ২২ মে বেলা ১১টায় তার মেয়ে ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রধান সড়কে যায়। এসময় মোটরসাইকেলসহ বন্ধুদের নিয়ে ওৎ পেতে থাকা রাকিব ও মুন্না তার মেয়েকে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।

সেই থেকে শরণখোলা থানায় মৌখিকভাবে জানিয়ে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন। গত বুধবার (১০ জুন) অপহরণকারীরা তার মেয়েকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার পাঁচ রাস্তা এলাকা থেকে উদ্ধার করে।

উদ্ধার হওয়ার পর ওই ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, অপহরণের পর মুন্নার বাড়ির দোতলায় নিয়ে তাকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে রাকিব। এসময় রাকিবকে সহযোগিতা করতো মুন্নার মা খাদিজা বেগম ও তার ভাই খোকন।

এ ব্যাপারে শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, উদ্ধার করে মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।  তার পিতা বাদী হয়ে রাকিব ও মুন্নাসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামী গ্রেফতারে অভিযান চালছে। শনিবার মেয়েটিকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাটে পাঠানো হবে।

 


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471