ঢাকা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী আটক

প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে মেহেনাজ পারভিন (১৯) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা নিহতের স্বামী রিপন হোসেনকে আটক করেছে।

বৃহস্প‌তিবার (৩০ এ‌প্রিল) রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। মেহেনাজ পারভিন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা দাসপাড়ার রিপন হোসেনের স্ত্রী ও দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মুকুল হোসেনের মেয়ে।

নিহতের ভাই দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের সুমন হোসেন বলেন, তিন মাস আগে মেহেনাজের সঙ্গে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা গ্রামের দাসপাড়ার শ্রমিক রিপনের বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় নগদ টাকা ও সোনার গহনাসহ এক লাখ টাকার যৌতুক দেওয়া হয়। রিপনের আগের স্ত্রী তালাক হয়ে যায়। রিপন তার বাবা মায়ের সঙ্গে আগে লক্ষ্মীদাড়ি গ্রামে থাকতো।

সম্প্র‌তি তারা ভোমরা দাসপাড়ায় ঘরসহ জমি কিনে বসবাস করে আসছিল। একইসঙ্গে থাকতো রিপনের বোন রুপা ও তার স্বামী হযরত আলী। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মেহেনাজকে নির্যাতন করতো রিপন, তার বোন রুপা, বোনের স্বামী হযরত, শ্বশুর রবিউল ও শাশুড়ি খাদিজা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার মাকে রিপন ফোন করে জানায়, মেয়েকে নিয়ে না গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে। রাত ৯টার দিকে বোনকে আবারো নির্যাতনের একপর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।

এ সময় বোনের শ্বশুর মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যেতে বলে। রাত ১০টার দিকে তারা সদর হাসপাতালে যাওয়ার আগেই বোন মারা গেছে মর্মে খবর পান।

১১টার দিকে বোনের মরদেহ লক্ষ্মীদাড়িতে এনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে প্রচার করে মরদেহ মাটি দেওয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে রিপন ও তার পরিবারের সদস্যদের আটক করে একটি ঘরে আট‌কে রাখে।

রিপনের চাচা বাবলুর সহযোগিতায় ঘরের জানালা ভেঙে রিপনের পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, রিপন ভোমরা বন্দরে খুচরো পেঁয়াজ বিক্রি করতো। করোনার কারণে কাজ ছিল না তার। অভাবের তাড়নায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকতো। এ কারণে মেহেনাজকে মারপিট কর‌তো সে।

বৃহস্পতিবার মেহেনাজকে নির্যাতনের একপর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা জেনেছেন।

তবে আটক রিপন হোসেনের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, তার স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা গেছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের ডাক বিজেপি নেতার

সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী আটক

আপডেট সময় ১২:৫৫:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় যৌতুকের দাবিতে মেহেনাজ পারভিন (১৯) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর স্থানীয় জনতা নিহতের স্বামী রিপন হোসেনকে আটক করেছে।

বৃহস্প‌তিবার (৩০ এ‌প্রিল) রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। মেহেনাজ পারভিন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা দাসপাড়ার রিপন হোসেনের স্ত্রী ও দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মুকুল হোসেনের মেয়ে।

নিহতের ভাই দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের সুমন হোসেন বলেন, তিন মাস আগে মেহেনাজের সঙ্গে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা গ্রামের দাসপাড়ার শ্রমিক রিপনের বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় নগদ টাকা ও সোনার গহনাসহ এক লাখ টাকার যৌতুক দেওয়া হয়। রিপনের আগের স্ত্রী তালাক হয়ে যায়। রিপন তার বাবা মায়ের সঙ্গে আগে লক্ষ্মীদাড়ি গ্রামে থাকতো।

সম্প্র‌তি তারা ভোমরা দাসপাড়ায় ঘরসহ জমি কিনে বসবাস করে আসছিল। একইসঙ্গে থাকতো রিপনের বোন রুপা ও তার স্বামী হযরত আলী। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মেহেনাজকে নির্যাতন করতো রিপন, তার বোন রুপা, বোনের স্বামী হযরত, শ্বশুর রবিউল ও শাশুড়ি খাদিজা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার মাকে রিপন ফোন করে জানায়, মেয়েকে নিয়ে না গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে। রাত ৯টার দিকে বোনকে আবারো নির্যাতনের একপর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়।

এ সময় বোনের শ্বশুর মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যেতে বলে। রাত ১০টার দিকে তারা সদর হাসপাতালে যাওয়ার আগেই বোন মারা গেছে মর্মে খবর পান।

১১টার দিকে বোনের মরদেহ লক্ষ্মীদাড়িতে এনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে প্রচার করে মরদেহ মাটি দেওয়ার চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এসে রিপন ও তার পরিবারের সদস্যদের আটক করে একটি ঘরে আট‌কে রাখে।

রিপনের চাচা বাবলুর সহযোগিতায় ঘরের জানালা ভেঙে রিপনের পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, রিপন ভোমরা বন্দরে খুচরো পেঁয়াজ বিক্রি করতো। করোনার কারণে কাজ ছিল না তার। অভাবের তাড়নায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকতো। এ কারণে মেহেনাজকে মারপিট কর‌তো সে।

বৃহস্পতিবার মেহেনাজকে নির্যাতনের একপর্যায়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা জেনেছেন।

তবে আটক রিপন হোসেনের কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, তার স্ত্রীর শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা গেছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471