ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একজন জেলা প্রশাসকের মহানুভবতা !

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ  করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১০ দিন ধরে পর্যটক শূন্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। চারিদিকে সুনশান নিরবতা। এমন জনমানবহীন সৈকতে কেবল এক মানব শিশু ও কুকুরের সহাবস্থান নিয়ে তোলা একটি ছবি এখন ফেসবুক-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। বড় জোর ৬/৭ বছর বয়স শিশুটির। এই শিশুর আপনজন হিসাবেই রয়েছে একটি কুকুর।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ডিউটিতে গিয়ে কক্সবাজার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া এই শিশু এবং কুকুরের ছবিটি তার মোবাইলে ধারণ করে।

তারপর ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিষয়টি নজরে আসে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এর।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরান জাহিদ খান ও সৈয়দ মুরাদ ইসলাম খুঁজতে শুরু করেন শিশুটির অবস্থান।

শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাত একটার দিকে সাগর পাড়েই তাকে খোঁজে পাওয়া যায়। জানা যায় ‘শিশুটির নাম ইমন’। এই শিশুর বাড়ি মহেশখালী দ্বীপে।

মা-বাবা তাকে লেখাপড়ার জন্য পাঠিয়েছিল একটি মাদরাসায়। মাদরাসার মৌলভী তাকে পিটুনি দেওয়ায় সে পালিয়ে আশ্রয় নেয় সাগর পাড়ে।

গত ১০/১২ দিন ধরেই শিশু ইমন কক্সবাজার সাগর পাড়ে রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পর্যটন ও প্রটোকল শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরান জাহিদ খান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শিশুটিকে বীচকর্মীদের সহায়তায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে খুজে পায়।

এরপর ডিসি স্যারের বাংলোয় নিয়ে আসি। সেখানে শিশুটিকে পরিচ্ছন্ন করে ডিসি স্যার পাশে বসিয়ে রাতের খাবার খাওয়ান। এরপর শিশুটির মুখে জীবনের গল্প শুনেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, একজন মানুষ হিসেবে শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছি। সেই বর্তমানে আমার কাছে রয়েছে। তার এখন চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে আগে শিশুটির চিকিৎসা ব্যবস্থা করছি। এরপর শিশুটির জন্য যা যা করা দরকার তা করব।

ট্যাগস

একজন জেলা প্রশাসকের মহানুভবতা !

আপডেট সময় ১২:১৯:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ  করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১০ দিন ধরে পর্যটক শূন্য বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। চারিদিকে সুনশান নিরবতা। এমন জনমানবহীন সৈকতে কেবল এক মানব শিশু ও কুকুরের সহাবস্থান নিয়ে তোলা একটি ছবি এখন ফেসবুক-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে। বড় জোর ৬/৭ বছর বয়স শিশুটির। এই শিশুর আপনজন হিসাবেই রয়েছে একটি কুকুর।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ডিউটিতে গিয়ে কক্সবাজার ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া এই শিশু এবং কুকুরের ছবিটি তার মোবাইলে ধারণ করে।

তারপর ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিষয়টি নজরে আসে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এর।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরান জাহিদ খান ও সৈয়দ মুরাদ ইসলাম খুঁজতে শুরু করেন শিশুটির অবস্থান।

শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাত একটার দিকে সাগর পাড়েই তাকে খোঁজে পাওয়া যায়। জানা যায় ‘শিশুটির নাম ইমন’। এই শিশুর বাড়ি মহেশখালী দ্বীপে।

মা-বাবা তাকে লেখাপড়ার জন্য পাঠিয়েছিল একটি মাদরাসায়। মাদরাসার মৌলভী তাকে পিটুনি দেওয়ায় সে পালিয়ে আশ্রয় নেয় সাগর পাড়ে।

গত ১০/১২ দিন ধরেই শিশু ইমন কক্সবাজার সাগর পাড়ে রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পর্যটন ও প্রটোকল শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরান জাহিদ খান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শিশুটিকে বীচকর্মীদের সহায়তায় সৈকতের লাবণী পয়েন্টে খুজে পায়।

এরপর ডিসি স্যারের বাংলোয় নিয়ে আসি। সেখানে শিশুটিকে পরিচ্ছন্ন করে ডিসি স্যার পাশে বসিয়ে রাতের খাবার খাওয়ান। এরপর শিশুটির মুখে জীবনের গল্প শুনেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, একজন মানুষ হিসেবে শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছি। সেই বর্তমানে আমার কাছে রয়েছে। তার এখন চিকিৎসা প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে আগে শিশুটির চিকিৎসা ব্যবস্থা করছি। এরপর শিশুটির জন্য যা যা করা দরকার তা করব।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/visionnewstoday/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471