ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo সারাদেশে ভোটকেন্দ্রে সাড়ে ৬ লাখ আনসার মোতায়েন থাকবে Logo মেসিদের ভারত সফরের খবর জানাল আর্জেন্টিনা ফুটবল Logo খুলনায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার Logo ৩৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে না ফেরার দেশে মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী তাসনিয়া Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে: সিইসি Logo দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত Logo নিউইয়র্কে পর্যটকবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৫ Logo নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে,পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকবো না,ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo পরীক্ষার ফি না দেওয়ায় বহিষ্কার, ছোট্ট সুরাইয়ার পাশে দাঁড়াল ইকরা সুন্নাহ ফাউন্ডেশন Logo বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

পাকিস্তানে বন্যা ও ভূমিধসে দুই দিনে ৩৫০ জনের মৃত্যু

মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানে। শুধু খাইবার পাখতুনখোয়ায় মারা গেছেন অন্তত ৩২৮ জন।

সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যায় এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে বুনের, সোয়াত, মানসেহরা, বাজাউর এবং বাটাগ্রামে ঘরবাড়ি, দোকানপাট এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাইবার পাখতুনখোয়া ছাড়াও গিলগিট বালতিস্তানে ১২ জন এবং আজাদ কাশ্মীরে ১১ জন মারা গেছেন।

প্রাদেশিক উদ্ধার সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, প্রায় ২ হাজার উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার এবং নয়টি ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন।

জানা যায়, প্রাদেশিক সরকার এরমধ্যেই জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম চালু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি রুপি। শুধু বুনের জেলাতেই ১৫ কোটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। হেলিকপ্টারে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে দুর্গম এলাকায়। তবে স্থানীয়দের মতে, ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় সরকারি সহায়তা এখনও অপর্যাপ্ত।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দাফন-জানাজার জন্যও গ্রামে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশের গ্রামের মানুষ এসে সহায়তা করেছেন। তারা জানান, প্রায় প্রতিটি পরিবারেই রয়েছে হতাহতের খবর।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছে বুনের, সোয়াত, বাজাউর, তোরঘর, মানসেহরা, শাংলা ও বটগ্রাম।

উদ্ধারকারী সংস্থার মতে, শুধু বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামেই হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি নেই, আশ্রয় নেই, ভেঙে গেছে সড়কগুলোও। উদ্ধারকর্মীরা রাতের আঁধার ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে মৃতদেহ ও আহতদের ভিড়ে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।

ট্যাগস

সারাদেশে ভোটকেন্দ্রে সাড়ে ৬ লাখ আনসার মোতায়েন থাকবে

পাকিস্তানে বন্যা ও ভূমিধসে দুই দিনে ৩৫০ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ১২:০৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানে। শুধু খাইবার পাখতুনখোয়ায় মারা গেছেন অন্তত ৩২৮ জন।

সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যায় এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে বুনের, সোয়াত, মানসেহরা, বাজাউর এবং বাটাগ্রামে ঘরবাড়ি, দোকানপাট এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, খাইবার পাখতুনখোয়া ছাড়াও গিলগিট বালতিস্তানে ১২ জন এবং আজাদ কাশ্মীরে ১১ জন মারা গেছেন।

প্রাদেশিক উদ্ধার সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, প্রায় ২ হাজার উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার এবং নয়টি ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন।

জানা যায়, প্রাদেশিক সরকার এরমধ্যেই জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম চালু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ কোটি রুপি। শুধু বুনের জেলাতেই ১৫ কোটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। হেলিকপ্টারে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে দুর্গম এলাকায়। তবে স্থানীয়দের মতে, ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় সরকারি সহায়তা এখনও অপর্যাপ্ত।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে দাফন-জানাজার জন্যও গ্রামে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পাশের গ্রামের মানুষ এসে সহায়তা করেছেন। তারা জানান, প্রায় প্রতিটি পরিবারেই রয়েছে হতাহতের খবর।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত হয়েছে বুনের, সোয়াত, বাজাউর, তোরঘর, মানসেহরা, শাংলা ও বটগ্রাম।

উদ্ধারকারী সংস্থার মতে, শুধু বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামেই হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি নেই, আশ্রয় নেই, ভেঙে গেছে সড়কগুলোও। উদ্ধারকর্মীরা রাতের আঁধার ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে মৃতদেহ ও আহতদের ভিড়ে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।