ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo মেসিদের ভারত সফরের খবর জানাল আর্জেন্টিনা ফুটবল Logo খুলনায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার Logo ৩৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে না ফেরার দেশে মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী তাসনিয়া Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে: সিইসি Logo দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত Logo নিউইয়র্কে পর্যটকবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৫ Logo নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে,পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকবো না,ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo পরীক্ষার ফি না দেওয়ায় বহিষ্কার, ছোট্ট সুরাইয়ার পাশে দাঁড়াল ইকরা সুন্নাহ ফাউন্ডেশন Logo বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা Logo বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

আটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য আলোচনা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য সর্বোচ্চ। এরই মধ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে কি না, তা নির্ভর করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ সামগ্রিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গত ৮ আগস্ট জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অবশেষে রোববার গণমাধ্যমটি নিশ্চিত করেছে— মার্কিন কর্মকর্তাদের নির্ধারিত সফর আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের কৃষিপণ্যের বাজারে প্রবেশাধিকার চায়। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় ভারত সরকার এতে অনড় অবস্থান নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে আলোচনার চেষ্টা হলেও তাতে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কৃষক, জেলে ও পশুপালকদের কল্যাণে কোনো আপস করবে না তার সরকার। মার্কিন কৃষি ও দুগ্ধপণ্যের বাজার প্রবেশাধিকার নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে ভারতের ওপর শুল্ক বাড়বে নাকি কমবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সমাধান আসেনি।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, যদি ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগোয় না, তবে ভারতের ওপর দ্বিতীয় ধাপের শুল্ক আরও বাড়তে পারে।

ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছ থেকে আরও উদ্যোগ আশা করেছিলাম। ভারত রাশিয়ার তেল আমদানি করছে বলেই দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যদি আলোচনায় সাফল্য না আসে, শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হতে পারে।

ট্যাগস

মেসিদের ভারত সফরের খবর জানাল আর্জেন্টিনা ফুটবল

আটকে গেল যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য আলোচনা

আপডেট সময় ১১:৫১:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত বিশ্বের যেকোনো দেশের জন্য সর্বোচ্চ। এরই মধ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে কি না, তা নির্ভর করছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ সামগ্রিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস গত ৮ আগস্ট জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অবশেষে রোববার গণমাধ্যমটি নিশ্চিত করেছে— মার্কিন কর্মকর্তাদের নির্ধারিত সফর আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের কৃষিপণ্যের বাজারে প্রবেশাধিকার চায়। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় ভারত সরকার এতে অনড় অবস্থান নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে আলোচনার চেষ্টা হলেও তাতে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, কৃষক, জেলে ও পশুপালকদের কল্যাণে কোনো আপস করবে না তার সরকার। মার্কিন কৃষি ও দুগ্ধপণ্যের বাজার প্রবেশাধিকার নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে ভারতের ওপর শুল্ক বাড়বে নাকি কমবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, আলোচনায় কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সমাধান আসেনি।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, যদি ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগোয় না, তবে ভারতের ওপর দ্বিতীয় ধাপের শুল্ক আরও বাড়তে পারে।

ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছ থেকে আরও উদ্যোগ আশা করেছিলাম। ভারত রাশিয়ার তেল আমদানি করছে বলেই দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যদি আলোচনায় সাফল্য না আসে, শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হতে পারে।