ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo মেসিদের ভারত সফরের খবর জানাল আর্জেন্টিনা ফুটবল Logo খুলনায় যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার Logo ৩৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে না ফেরার দেশে মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী তাসনিয়া Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জোর প্রস্তুতি চলছে: সিইসি Logo দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত Logo নিউইয়র্কে পর্যটকবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৫ Logo নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে,পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকবো না,ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo পরীক্ষার ফি না দেওয়ায় বহিষ্কার, ছোট্ট সুরাইয়ার পাশে দাঁড়াল ইকরা সুন্নাহ ফাউন্ডেশন Logo বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা Logo বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ২১ হাজার সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে ইরান

গত জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাত চলাকালীন ইরানের পুলিশ ২১ হাজার ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে একজন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ জুন ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলার পর ইরানের নিরাপত্তাবাহিনী দেশজুড়ে ধরপাকড় অভিযান চালায়। এই হামলায় শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী এবং শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের পক্ষে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মুখপাত্র সাইদ মোন্তাজেরোলমাহদি জানান, ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ২১ হাজার সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তিনি গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের কথা জানাননি। তেহরান এর আগে এমন কিছু ব্যক্তির কথা বলেছিল, যারা তথ্য দিয়ে ইসরায়েলি হামলায় সহায়তা করেছে বলে ধারণা করা হয়েছিল।

জুন মাসের শেষ থেকে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

সংঘাতের কারণে অবৈধভাবে বসবাসকারী আফগান শরণার্থী ও অভিবাসীদের বহিষ্কারের হারও বেড়েছে। সাহায্য সংস্থাগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কিছু আফগান নাগরিককে ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।

মোন্তাজেরোলমাহদি আরও জানান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ২ হাজার ৭৭৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে এবং তাদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ৩০টি বিশেষ নিরাপত্তা মামলার সন্ধান পায়। মোট ২৬১ জন গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহভাজন এবং ১৭২ জনকে অননুমোদিত ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ছাড়া, যুদ্ধের সময় ইরানের পুলিশ ৫ হাজার ৭০০টিরও বেশি সাইবার অপরাধের মামলা পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে অনলাইন জালিয়াতি এবং অননুমোদিত অর্থ উত্তোলন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার মতে, এই যুদ্ধ “সাইবার স্পেসকে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে” পরিণত করেছে।

ট্যাগস

মেসিদের ভারত সফরের খবর জানাল আর্জেন্টিনা ফুটবল

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় ২১ হাজার সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে ইরান

আপডেট সময় ১২:১৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

গত জুনে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাত চলাকালীন ইরানের পুলিশ ২১ হাজার ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে একজন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ জুন ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলার পর ইরানের নিরাপত্তাবাহিনী দেশজুড়ে ধরপাকড় অভিযান চালায়। এই হামলায় শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী এবং শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের পক্ষে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মুখপাত্র সাইদ মোন্তাজেরোলমাহদি জানান, ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ২১ হাজার সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তিনি গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের কথা জানাননি। তেহরান এর আগে এমন কিছু ব্যক্তির কথা বলেছিল, যারা তথ্য দিয়ে ইসরায়েলি হামলায় সহায়তা করেছে বলে ধারণা করা হয়েছিল।

জুন মাসের শেষ থেকে ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

সংঘাতের কারণে অবৈধভাবে বসবাসকারী আফগান শরণার্থী ও অভিবাসীদের বহিষ্কারের হারও বেড়েছে। সাহায্য সংস্থাগুলো জানিয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কিছু আফগান নাগরিককে ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।

মোন্তাজেরোলমাহদি আরও জানান, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ২ হাজার ৭৭৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে এবং তাদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ৩০টি বিশেষ নিরাপত্তা মামলার সন্ধান পায়। মোট ২৬১ জন গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহভাজন এবং ১৭২ জনকে অননুমোদিত ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ছাড়া, যুদ্ধের সময় ইরানের পুলিশ ৫ হাজার ৭০০টিরও বেশি সাইবার অপরাধের মামলা পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে অনলাইন জালিয়াতি এবং অননুমোদিত অর্থ উত্তোলন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার মতে, এই যুদ্ধ “সাইবার স্পেসকে একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রে” পরিণত করেছে।