ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪ বছরের মেয়েকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিলো বাবা

কক্সবাজারের উখিয়ায় নেশাগ্রস্ত পিতার বিরুদ্ধে তার চারবছর বয়সী কন্যাকে হত্যার পর নদীতে মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে জনতার হাতে আটক হন তিনি।

শনিবার (৫ জুলাই) রাতে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী কোনার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আটক আমান উল্লাহ (৪০) ওই এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নেশা করে বাড়ি আসার পর আমান উল্লাহ অকারণে প্রথমে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে তার চার বছর বয়সী শিশু মেয়েটি কাছে এলে তাকে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি।

তারা আরও জানায়, পরে হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে মেয়ের নিথর দেহ মনখালী খালে ফেলে দেন ঘাতক বাবা। এসময় মারধরের শিকার স্ত্রী কিছুটা সুস্থ হয়ে স্থানীয় দোকানদার ও প্রতিবেশীদের কাছে ঘটনার বিবরণ দিলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক ইনানী পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করেন।

খবর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক বাবাকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমান উল্লাহ হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, ‘মদ, ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করে মাতাল অবস্থায় স্ত্রীকে পেটানোর পর মেয়েকে হত্যা করেছি ‘

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোক, ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। নিজের সন্তানকে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন জানান, অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

৪ বছরের মেয়েকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিলো বাবা

আপডেট সময় ০৩:৫৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

কক্সবাজারের উখিয়ায় নেশাগ্রস্ত পিতার বিরুদ্ধে তার চারবছর বয়সী কন্যাকে হত্যার পর নদীতে মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে জনতার হাতে আটক হন তিনি।

শনিবার (৫ জুলাই) রাতে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী কোনার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আটক আমান উল্লাহ (৪০) ওই এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নেশা করে বাড়ি আসার পর আমান উল্লাহ অকারণে প্রথমে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে তার চার বছর বয়সী শিশু মেয়েটি কাছে এলে তাকে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি।

তারা আরও জানায়, পরে হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে মেয়ের নিথর দেহ মনখালী খালে ফেলে দেন ঘাতক বাবা। এসময় মারধরের শিকার স্ত্রী কিছুটা সুস্থ হয়ে স্থানীয় দোকানদার ও প্রতিবেশীদের কাছে ঘটনার বিবরণ দিলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক ইনানী পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করেন।

খবর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক বাবাকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমান উল্লাহ হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, ‘মদ, ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করে মাতাল অবস্থায় স্ত্রীকে পেটানোর পর মেয়েকে হত্যা করেছি ‘

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোক, ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। নিজের সন্তানকে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোসেন জানান, অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।