ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভাব-অনটন সহ্য করতে না পেরে একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অভাব-অনটন আর পারিবারিক দুঃখ-দুর্দশা সহ্য করতে না পেরে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন এক দম্পতি। নিহতরা হলেন- আল আমিন (২৫) ও তার স্ত্রী জরিনা বেগম (২০)।

রবিবার (২৫ মে) রাতে উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। আল আমিন ওই এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে এবং জরিনা বেগম নোয়াপাড়ার ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। আল আমিন পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

জরিনার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, সংসারে অভাব-অনটন ও দাম্পত্য কলহের জেরে দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ চলছিল। সম্প্রতি কিস্তিতে কেনা ইজিবাইকটি বিক্রি করে দেন আল আমিন, যা নিয়ে আরও জটিলতা তৈরি হয়। হতাশা ও ক্ষোভ থেকেই তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

রবিবার রাতে তারা কেরির টেবলেট (চালের পোকা মারার ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে রাত ১০টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরিনা জরুরি বিভাগেই মারা যান। রাত একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আল আমিনও।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অভাব-অনটন ও মানসিক কষ্টের কারণেই তারা আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

ট্যাগস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অভাব-অনটন সহ্য করতে না পেরে একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৪:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অভাব-অনটন আর পারিবারিক দুঃখ-দুর্দশা সহ্য করতে না পেরে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন এক দম্পতি। নিহতরা হলেন- আল আমিন (২৫) ও তার স্ত্রী জরিনা বেগম (২০)।

রবিবার (২৫ মে) রাতে উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের কুড়ের পাড় এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। আল আমিন ওই এলাকার নান্নু মিয়ার ছেলে এবং জরিনা বেগম নোয়াপাড়ার ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। আল আমিন পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

জরিনার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, সংসারে অভাব-অনটন ও দাম্পত্য কলহের জেরে দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ চলছিল। সম্প্রতি কিস্তিতে কেনা ইজিবাইকটি বিক্রি করে দেন আল আমিন, যা নিয়ে আরও জটিলতা তৈরি হয়। হতাশা ও ক্ষোভ থেকেই তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

রবিবার রাতে তারা কেরির টেবলেট (চালের পোকা মারার ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে রাত ১০টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরিনা জরুরি বিভাগেই মারা যান। রাত একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আল আমিনও।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অভাব-অনটন ও মানসিক কষ্টের কারণেই তারা আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।