ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশুকন্যাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে দেড় লাখে বিক্রি করলেন বাবা

ফরিদপুরের নগরকান্দায় ৮মাস বয়সী এক শিশুকন্যাকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তার বাবার বিরুদ্ধে। হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের রামপাশা গ্রামে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত কাইয়ুম বিশ্বাস (৪০) তার স্ত্রী পপি বেগমকে মৌখিক তালাক দিয়ে শিশুটিকে জোর করে নিয়ে যান। পরে তিনি নাকি শিশুটিকে একই উপজেলার শাখরাইল গ্রামের এক নারীর কাছে বিক্রি করে দেন। পপি বেগম এই ঘটনায় ফরিদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় কাইয়ুম বিশ্বাস ছাড়াও তার তিন বোনসহ মোট পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আদালত নগরকান্দা থানাকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তবে এখনো শিশুটিকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।

নগরকান্দা থানার ওসি মোহাম্মাদ সফর আলী বলেন, “বাচ্চাটি যেই ঠিকানায় বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে, সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। শিশুটিকে পাওয়া গেলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তার হেফাজত নির্ধারণ করা হবে।”

পপি বেগম জানান, সন্তান হারিয়ে তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “মেয়েটাকে একটিবার দেখতে চাই। যার কাছে বিক্রি করা হয়েছে, তার পায়ের নিচে বসে কেঁদেছি, কিন্তু দেখতেও দেয়নি।”

ঘটনাটি নিয়ে কাইয়ুম বিশ্বাসের বোন মিতা আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে অপর একজন রিসিভ করে মিতার স্বামী পরিচয় দেন এবং ব্যস্ত আছেন বলে কেটে দেন।

এ দিকে শিশুটির বাবা কাইয়ুম বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

শিশুকন্যাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে দেড় লাখে বিক্রি করলেন বাবা

আপডেট সময় ০৭:০০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

ফরিদপুরের নগরকান্দায় ৮মাস বয়সী এক শিশুকন্যাকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে দেড় লাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে তার বাবার বিরুদ্ধে। হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের রামপাশা গ্রামে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত কাইয়ুম বিশ্বাস (৪০) তার স্ত্রী পপি বেগমকে মৌখিক তালাক দিয়ে শিশুটিকে জোর করে নিয়ে যান। পরে তিনি নাকি শিশুটিকে একই উপজেলার শাখরাইল গ্রামের এক নারীর কাছে বিক্রি করে দেন। পপি বেগম এই ঘটনায় ফরিদপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় কাইয়ুম বিশ্বাস ছাড়াও তার তিন বোনসহ মোট পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আদালত নগরকান্দা থানাকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তবে এখনো শিশুটিকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।

নগরকান্দা থানার ওসি মোহাম্মাদ সফর আলী বলেন, “বাচ্চাটি যেই ঠিকানায় বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে, সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত চলছে। শিশুটিকে পাওয়া গেলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তার হেফাজত নির্ধারণ করা হবে।”

পপি বেগম জানান, সন্তান হারিয়ে তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “মেয়েটাকে একটিবার দেখতে চাই। যার কাছে বিক্রি করা হয়েছে, তার পায়ের নিচে বসে কেঁদেছি, কিন্তু দেখতেও দেয়নি।”

ঘটনাটি নিয়ে কাইয়ুম বিশ্বাসের বোন মিতা আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে অপর একজন রিসিভ করে মিতার স্বামী পরিচয় দেন এবং ব্যস্ত আছেন বলে কেটে দেন।

এ দিকে শিশুটির বাবা কাইয়ুম বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।