ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বজ্রপাতে দুই জেলায় নিহত ৫

ঝিনাইদহ ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (০৬ মে) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী এবং ঝিনাইদহে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলার চরটেকী এলাকায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা (১৫), একই গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া (১৫) ও একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে বর্ষা (১৫)। তারা সবাই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝড়সহ বৃষ্টি শুরু হয়। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরটেকী নামাপাড়ায় ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে তিন স্কুল শিক্ষার্থী। এসময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হন ওই তিনজন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বর্ষারও মৃত্যু হয়।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঝিনাইদহে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মিরাজুল ইসলাম (২৫) ও অলিয়ার রহমান (৫০) নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম বিষয়খালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিরাজুল ইসলাম গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম বিষয়খালী গ্রামের শাহাজ্জেল হোসেনের ছেলে। অলিয়ার রহমান মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে মাঠে ধান কাটতে যান মিরাজুল। সকাল সাড়ে ১০টার পরে আকস্মিক বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় অন্যরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও বজ্রপাতের কবলে পড়েন মিরাজুল। পরে আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে অপর নিহত অলিয়ার রহমানের স্বজনরা জানান, সকালে মাঠে ধান গোছানোর কাজে বাড়ি থেকে বের হন অলিয়ার। বেলা ১১টার দিকে তুমুল বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় মাঠে থাকাবস্থায় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত খালিদ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে আহত দুই কৃষক হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান।

ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বজ্রপাতে দুই কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

ট্যাগস

সর্বাধিক পঠিত

বজ্রপাতে দুই জেলায় নিহত ৫

আপডেট সময় ০৫:২৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫

ঝিনাইদহ ও কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (০৬ মে) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী এবং ঝিনাইদহে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলার চরটেকী এলাকায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা (১৫), একই গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া (১৫) ও একই গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে বর্ষা (১৫)। তারা সবাই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝড়সহ বৃষ্টি শুরু হয়। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরটেকী নামাপাড়ায় ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে তিন স্কুল শিক্ষার্থী। এসময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হন ওই তিনজন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বর্ষারও মৃত্যু হয়।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বজ্রপাতে তিন স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঝিনাইদহে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মিরাজুল ইসলাম (২৫) ও অলিয়ার রহমান (৫০) নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম বিষয়খালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিরাজুল ইসলাম গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম বিষয়খালী গ্রামের শাহাজ্জেল হোসেনের ছেলে। অলিয়ার রহমান মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সকালে মাঠে ধান কাটতে যান মিরাজুল। সকাল সাড়ে ১০টার পরে আকস্মিক বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় অন্যরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও বজ্রপাতের কবলে পড়েন মিরাজুল। পরে আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে অপর নিহত অলিয়ার রহমানের স্বজনরা জানান, সকালে মাঠে ধান গোছানোর কাজে বাড়ি থেকে বের হন অলিয়ার। বেলা ১১টার দিকে তুমুল বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় মাঠে থাকাবস্থায় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত খালিদ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বজ্রপাতে আহত দুই কৃষক হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান।

ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বজ্রপাতে দুই কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।