ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ২ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ

  • স্টাফ রিপোটার :
  • আপডেট সময় ০৫:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৯৪ Time View

মাইকে ঘোষণা দিয়ে যশোর সদরের বড় হৈবতপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিএনপির ৫ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, হৈবতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি রাজু (৪৪), ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সম্পাদক শামীম (৩৬), বিএনপিকর্মী জিয়া (৩৫) এবং ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের কোষাধক্ষ পাপ্পু।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, চুরামনকাটি ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমানের হৈবতপুর ইউনিয়নের বড় হৈবতপুর গ্রামের মাঠে চাষাবাদের জমি রয়েছে। আনিছুর জোরপূর্বক হৈবতপুর গ্রামের বাসিন্দাদের জমির আইল কেটে দিয়ে নিজের জমিতে সেচের পানি দিতেন। মঙ্গলবার একইভাবে সেচ দেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে আনিছুর নিজ এলাকার মসজিদে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৫০/৬০ জন লোক ডেকে আনেন।

অন্যদিকে বড় হৈবতপুর গ্রামবাসীও সেখানে চলে আসে। সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার করে দেন যুবদল নেতা রাজু। এরপর ফিরে যাওয়ার পথে হৈবতপুরের লোকজনের ওপর আনিছের নেতৃত্বে শফিক, সন্ত্রাসী তৌহিদ এবং রমজানসহ কয়েকজন হামলা চালায়। এসময় গুরুতর জখম হন ৫ জন। এসময় হৈবতপুরের লোকজন প্রতিরোধে এগিয়ে গেলে আনিছ মেম্বারের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে আহতদের মধ্যে ৪ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আনিছের সহযোগী শফিককে তার পরিবারের লোকজন যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে হাসপাতাল চত্বরে মারপিট করে। পরে তাকে অন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মিঠুন কুমার জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মাথায় বেশকয়েকটি ক্ষত রয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা বলেন, আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ফের সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। আধিপত্ত বিস্তারের চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালিয়েছে। গ্রামবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে আহত হয়েছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। জড়িতদের দ্রুত আটকের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ট্যাগস

যশোরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ২ গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ

আপডেট সময় ০৫:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মাইকে ঘোষণা দিয়ে যশোর সদরের বড় হৈবতপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিএনপির ৫ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, হৈবতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি রাজু (৪৪), ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সম্পাদক শামীম (৩৬), বিএনপিকর্মী জিয়া (৩৫) এবং ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের কোষাধক্ষ পাপ্পু।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, চুরামনকাটি ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমানের হৈবতপুর ইউনিয়নের বড় হৈবতপুর গ্রামের মাঠে চাষাবাদের জমি রয়েছে। আনিছুর জোরপূর্বক হৈবতপুর গ্রামের বাসিন্দাদের জমির আইল কেটে দিয়ে নিজের জমিতে সেচের পানি দিতেন। মঙ্গলবার একইভাবে সেচ দেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে আনিছুর নিজ এলাকার মসজিদে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৫০/৬০ জন লোক ডেকে আনেন।

অন্যদিকে বড় হৈবতপুর গ্রামবাসীও সেখানে চলে আসে। সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার করে দেন যুবদল নেতা রাজু। এরপর ফিরে যাওয়ার পথে হৈবতপুরের লোকজনের ওপর আনিছের নেতৃত্বে শফিক, সন্ত্রাসী তৌহিদ এবং রমজানসহ কয়েকজন হামলা চালায়। এসময় গুরুতর জখম হন ৫ জন। এসময় হৈবতপুরের লোকজন প্রতিরোধে এগিয়ে গেলে আনিছ মেম্বারের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে আহতদের মধ্যে ৪ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আনিছের সহযোগী শফিককে তার পরিবারের লোকজন যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাকে হাসপাতাল চত্বরে মারপিট করে। পরে তাকে অন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মিঠুন কুমার জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মাথায় বেশকয়েকটি ক্ষত রয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা বলেন, আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ফের সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। আধিপত্ত বিস্তারের চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদ করায় গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালিয়েছে। গ্রামবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে আহত হয়েছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। জড়িতদের দ্রুত আটকের দাবি জানিয়েছেন তিনি।