বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে এনায়েতপুর থানায় হামলা ও ১৫ পুলিশ সদস্যকে হত্যা মামলায় সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি দল বেলকুচির কামারপাড়ার বাড়ি থেকে আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে আটক করে। পরে তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান।
আব্দুল লতিফ বিশ্বাস সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন।গত সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও নৌকার প্রার্থী আব্দুল মোমিন মণ্ডলের কাছে হেরে যান।
এনায়েতপুর থানা পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে থানায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ১৫ পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের চার নেতার নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও পাঁচ-ছয় হাজার জনকে। আর ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে চার কোটি টাকা।
মামলায় এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মোস্তফা খান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুল্লুক চাঁদ, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ভূঁইয়ার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ হাজার জনকে আসামি করা হয়। মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এজাহার নামীয় আসামি না হলেও সমৃদ্ধ আসামি বলে জানিয়েছেন এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী।