নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশটির বাংলাদেশ বিষয়ক পররাষ্ট্রনীতিতে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে না বলেই মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।নোবেলবিজয়ী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অতীতে কখনো তার কথা হয়নি এবং তার সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সমস্যাও নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির মতো রিপাবলিকান পার্টিতে তার বন্ধু আছে।
কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একথা বলেন। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সম্প্রতি জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৯) ফাঁকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারটি রবিবার সম্প্রচার করে আল-জাজিরা।সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকার, চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়া, আগামী নির্বাচন, সংখ্যালঘু পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে সৃষ্ট সংকট, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্ক কেমন হতে পারেসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন ড. ইউনূস।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘অতীতে ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কখনো যোগাযোগ হয়নি। সুতরাং তার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। কিন্তু যদি দলের কথা বলি, রিপাবলিকান পার্টিতেও বন্ধু আছে, ডেমোক্রেটিক পার্টিতেও বন্ধু আছে।’‘আমাকে কংগ্রেসনাল স্বর্ণপদক দেওয়ার ব্যাপারে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ভোট দিয়েছিল, তাতে উভয় দল থেকে শতভাগ সম্মতি মিলেছিল। সেখানে কোনো সমস্যা নেই। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়েছেন বলে হঠাৎ করে নতুন কোনো সমস্যার উদয় হবে, আমি তেমনটি মনে করি না।’
যুক্তরাষ্ট্রে কে প্রেসিডেন্ট হলেন আর সেটির ওপর নির্ভর করে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি বদলে যায় না মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি অনেকটাই স্থিতিশীল। তাই এই অঞ্চলের জন্য ট্রাম্প ভিন্ন কোনো অবস্থান নেবেন না বলেই আমি বিশ্বাস করি।’সাক্ষাৎকারের একপর্যায়ে ড. ইউনূসের কাছে সংখ্যালঘুদের অধিকারের বিষয়টি সামাল দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘু নিয়ে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে।’দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বেশিরভাগ প্রোপাগান্ডার উৎস ভারত। তা সে যে কারণেই হোক, হতে পারে এই উত্তেজনা জিইয়ে রাখার জন্য। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ব নেই।’