ঢাকা ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির বাসভবন থেকে সরানো হল শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি

রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন থেকে ফ্যাসিবাদের মূল হোতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) তিন উপদেষ্টার শপথগ্রহণের সময় পেছনে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকায় অনেকে সমালোচনা করেছিলেন।

এমনকি এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে কড়া বাক্য বিনিময় করতেও দেখা যায়। তারা বলেন, আমরা আন্দোলন করে স্বৈরশাসক বিদায় করলাম। তবে এখনও তাদের দোসররা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের চিরতরে বিদায় করতে হবে। বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি না সরালে আবার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।অবশেষে একদিন পরই সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে নিজের একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিতে দেখা যায়, উপদেষ্টা শপথগ্রহণের স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। রোববার শপথগ্রহণের পেছনের দেওয়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ছবিটি শেয়ার করে তার ক্যাপশনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লেখেন, ‘দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান, ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্টের ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু, মানুষের জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাবে না।’তিনি আরও লেখেন, ‘শেখ মুজিব এবং তার কন্যা বাংলাদেশের জনগণের সাথে যা করেছেন তার জন্য আওয়ামী লীগকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। অগণতান্ত্রিক ৭২সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, বিলিয়ন কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচার-বহির্ভূত হত্যা (৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪) ৷

তাহলে আমরা ৭১-এর আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া কোনো ধরনের ক্ষমা ও পুর্নমিলন হবে না।’এরপরই নেটিজেনরা উপদেষ্টা মাহফুজকে শুভেচ্ছায় ভাসাতে থাকেন। নেটিজেনরা ফেসবুকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে মাহফুজকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। নেটিজেনরা বলেন, মাহফুজ ভাইয়ের মতো মেধাবীকে আরও আগেই উপদেষ্টা বানানো দরকার ছিল। তাহলে দেশে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দোসর এত থাকতো না।একজন লিখেছেন, সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ স্বৈরাচারের বাবার ছবি দেখার জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি। ধন্যবাদ প্রিয় মাহফুজ স্যার। আবার অনেকে তার দীর্ঘ হায়াত কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

আরেকজন লিখেছেন, স্বাধীন দেশের প্রথম স্বৈরশাসক ছিল শেখ মুজিব। কোনো স্বৈরাচারের জায়গা বাংলার মাটিতে হবে না। ধন্যবাদ মাহফুজ স্যার এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।কেউ কেউ লেখেন, প্রিয় মাহফুজ ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ রয়ে গেলাম। আপনিই পারবেন এই স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করতে।অনেকে লেখেন, প্রিয় স্যার ও মাহফুজ ভাই আপনার প্রতি আমাদের শেষ আবেদন হলো এই স্বৈরশাসকের দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন। আর সব জায়গা থেকে দোসরদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালান।

ট্যাগস

রাষ্ট্রপতির বাসভবন থেকে সরানো হল শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি

আপডেট সময় ০২:০৭:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবন থেকে ফ্যাসিবাদের মূল হোতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) তিন উপদেষ্টার শপথগ্রহণের সময় পেছনে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকায় অনেকে সমালোচনা করেছিলেন।

এমনকি এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে কড়া বাক্য বিনিময় করতেও দেখা যায়। তারা বলেন, আমরা আন্দোলন করে স্বৈরশাসক বিদায় করলাম। তবে এখনও তাদের দোসররা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের চিরতরে বিদায় করতে হবে। বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি না সরালে আবার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।অবশেষে একদিন পরই সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুকে নিজের একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিতে দেখা যায়, উপদেষ্টা শপথগ্রহণের স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। রোববার শপথগ্রহণের পেছনের দেওয়ালে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ছবিটি শেয়ার করে তার ক্যাপশনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লেখেন, ‘দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান, ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্টের ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু, মানুষের জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাকে কোথাও দেখা যাবে না।’তিনি আরও লেখেন, ‘শেখ মুজিব এবং তার কন্যা বাংলাদেশের জনগণের সাথে যা করেছেন তার জন্য আওয়ামী লীগকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে। অগণতান্ত্রিক ৭২সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, বিলিয়ন কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচার-বহির্ভূত হত্যা (৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪) ৷

তাহলে আমরা ৭১-এর আগের শেখ মুজিবের কথা বলতে পারি। ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া কোনো ধরনের ক্ষমা ও পুর্নমিলন হবে না।’এরপরই নেটিজেনরা উপদেষ্টা মাহফুজকে শুভেচ্ছায় ভাসাতে থাকেন। নেটিজেনরা ফেসবুকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে মাহফুজকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেন। নেটিজেনরা বলেন, মাহফুজ ভাইয়ের মতো মেধাবীকে আরও আগেই উপদেষ্টা বানানো দরকার ছিল। তাহলে দেশে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার দোসর এত থাকতো না।একজন লিখেছেন, সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ স্বৈরাচারের বাবার ছবি দেখার জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়নি। ধন্যবাদ প্রিয় মাহফুজ স্যার। আবার অনেকে তার দীর্ঘ হায়াত কামনা করে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

আরেকজন লিখেছেন, স্বাধীন দেশের প্রথম স্বৈরশাসক ছিল শেখ মুজিব। কোনো স্বৈরাচারের জায়গা বাংলার মাটিতে হবে না। ধন্যবাদ মাহফুজ স্যার এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য।কেউ কেউ লেখেন, প্রিয় মাহফুজ ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ রয়ে গেলাম। আপনিই পারবেন এই স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করতে।অনেকে লেখেন, প্রিয় স্যার ও মাহফুজ ভাই আপনার প্রতি আমাদের শেষ আবেদন হলো এই স্বৈরশাসকের দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন। আর সব জায়গা থেকে দোসরদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালান।