আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে মঙ্গলবার দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ দল। যাওয়ার আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয়ে গেল সব ধরণের আনুষ্ঠানিকতা। হলো রুটিন ফটোসেশন। সংবাদ সম্মেলনে মিলল বৈশ্বিক আসরে পরাজয়ের গোণ্ডি থেকে বের হয়ে আসার প্রতিশ্রুতি। সর্বপরি দেশের নারী ক্রিকেট নতুন স্পৃহা যোগ করার প্রচেষ্টার কথা শোনালেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘প্রথমত ম্যাচ জিততে চেষ্টা করব। ২০১৪ ছাড়া একটা বিশ্বকাপেও আমরা একটি ম্যাচও জিততে পারিনি। ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে ভালো ক্রিকেট খেলার কোনও মানে নাই, যদি আপনি ম্যাচ জিততে না পারেন। প্রথমত চাই ম্যাচ জিততে। দ্বিতীয়ত যখন আমরা ফ্লো পাব, আমার কাছে মনে হয় আমাদের যে দল… অবশ্যই.. সেমিফাইনাল কে না খেলতে চায়।’
নিজেদের ক্রিকেট স্পৃহা দিয়ে মন জয় করতে চান জ্যোতি, যেন পরবর্তী প্রজন্ম দেশের জার্সি গায়ে খেলার বাড়তি আগ্রহ পায়। তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেভাবেই। আমরা জানি যে আমাদের ক্রিকেটটা যদি এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে বিশ্বকাপের চেয়ে বড় মঞ্চ আর হতে পারে না। ওখানে ভালো পারফরম্যান্স করলে শুধু আমরা না, যারা বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলে, বাকি যে মেয়েরা… যারা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে চায় তাদের জন্য আমরা ভালো কিছু করতে চাই।’
আসরটি হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার কারণে টুর্নামেন্টটি শেষ সময়ে সরিয়ে নেওয়া হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।দেশের মাঠে হতে চাওয়ায় বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতিও ছিল সেই অনুযায়ী। ভেন্যু বদলে যাওয়ায় কৌশলেও আনতে হয়েছে বদল। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে এ দলের বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ঐ দলের আড়ালে মূলত খেলেছে জাতীয় দলই। মূলত লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি।
আগামী ৩ অক্টোবর আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ম্যাচটি আবার জ্যোতির শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচও। ম্যাচটি নিয়ে তাই বাড়তি রোমাঞ্চ কাজ করছে জ্যোতির মাঝে।প্রথম ম্যাচ স্পেশাল… তো প্রথম ম্যাচ জিততে চাই। আমার জন্য এটা সব থেকে স্পেশাল। আমার জন্য এবং আমার দলের জন্য এটা অনেক বড় একটা অর্জন হবে। অবশ্যই.. একজন প্লেয়ার হিসেবে একশ তম ম্যাচ, আমি এখনও জানি না খেলতে পারব কিনা। যদি আল্লাহপাক সুস্থ রাখেন তাহলে তো অবশ্যই খেলব। যদি খেলি, প্রথম লক্ষ্য এটাই থাকবে যেন জিততে পারি।’