ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লিটন দাসের অনবদ্য সেঞ্চুরি। তার ব্যাটেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নেমে গতকাল কোনো উইকেট না হারিয়ে ১০ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিন্ডিতে দুই টেস্টের প্রথমটিতে মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের অনবদ্য ইনিংসে ভর করে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ঐতিহাসিক জয়ের ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে জিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে টাইগাররা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দলের হয়ে ৫৮, ৫৭ ও ৫৪ রান করে করেন সায়েম আইয়ুব, শান মাসুদ ও আগা সালমান। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৫ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই অবস্থা থেকে দলকে টেনে খেলায় ফেরান লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ। তারা দুইজনে মিলে করেন ১৬৫ রানের জুটি। তাদের এই জুটিতেই দুইশোর কাছাকাছি চলে যায়।দলীয় ১৯১ রানে আউট হন মেহিদ হাসান মিরাজ। তার আগে ১২৪ বলে ১২টি চার আর এক ছক্কায় করেন ৭৮ রান। মিরাজ আউট হওয়ার পর মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ফেরেন তাসকিন আহমেদ।এরপর পেস বোলার হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলার পাশাপাশি সেঞ্চুর পূর্ণ করেন লিটন কুমার দাস। তিনি ১৭১ বলে ১২টি চার আর এক ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন।
টেস্ট ক্রিকেটে লিটনের এটা চতুর্থ সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয়। ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ১১৪ রান করেন লিটন দাস। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্সে করেন ১০২ রান। ২০২২ সালের মে মাসে শ্রীলংকার বিপক্ষে মিরপুরে করেন ১৪১ রান। আজ পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে লিটন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকান। তবে টেস্ট ওয়ানডে মিলে লিটনের এটা নবম সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে তিনি ৫টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।